আক্রমণই অস্ত্র, কিন্তু...

ছবি:

চট্টগ্রাম টেস্টে ফলাফল আসাটা একটু কঠিনই ছিল। কেননা টার্নিং উইকেটের প্রত্যাশা জাগিয়েও শেষদিনে 'ব্যাটিং উইকেটে' পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রামের উইকেট। কিন্তু মিরপুরে পুরোপুরি ভিন্ন ধরণের টার্নিং উইকেটে খেলা হয়েছে।
আর মিরপুরের উইকেটে জিততে হলে আক্রমণাত্মক খেলাকেই সঙ্গী করা উচিৎ ছিলো বলে মনে করেন টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেছেন,
'আপনি যদি এই থিওরিতে না যান তাহলে আপনার সাফল্যের সম্ভাবনাটা আরও কমে যাবে। আপনি যদি মনে করেন আপনি রক্ষণাত্মক খেলবেন, আপনি এমন উইকেটে রক্ষণাত্মক খেলতে পারবেন না। এই ধরণের উইকেটে আপনি ডিফেন্স করতেই থাকবেন।'
রিয়াদ আরো বলেন, 'বোলার ছয়টা বল করবে, সাত নম্বর বলে আপনাকে সুন্দর মতো সিলিতে অথবা স্লিপে নিয়ে যাবে। আর আপনাকে স্ট্রোক খেলতে হবে। আমি যেটা বললাম, ইন্টেন্ড অবশ্যই থাকবে কিন্তু আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কোন বলটা মারতে পারবেন।'

অর্থাৎ, আক্রমণাত্মক মানসিকতা রেখে দেখেশুনে শর্ট খেলাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন রিয়াদ। পাশাপাশি ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে হবে বলেও জানান টাইগার অধিনায়ক। তাঁর ভাষ্যমতে, 'শট ঠিকমতো না হলে ওরকম ভুল শট খেললে তো আপনি আউট হবেন। তবে অন্তত যদি ইতিবাচকতা না থাকে, তাহলে তো আপনি সুযোগই দিচ্ছেন না।'
বস্তুত চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হওয়ায় মিরপুরে কিছুটা স্পিনিং ট্র্যাকে খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। লঙ্কান দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ স্পিনার থাকায় রীতিমতো বাজিই ছিল টাইগারদের সেই চাওয়া।
তবে আগের টেস্টে ব্যাটসম্যানরা রান পাওয়ায় কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাচ্ছিলো ব্যাটসম্যানদের প্রতি, যদিও এই টেস্টে ভালো ব্যাটিং না করতে পারায় বাজিতে হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ বলা যায়। ৩২ বছর বয়সি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তাই বললেন,
'আপনি যদি চিটাগংয়ের কথা ধরেন, ওখানে উইকেট ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিল, আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করেছে। এজন্যই এখানে আমরা চাচ্ছিলাম, উইকেটটা স্পিন সহায়ক হোক। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আমরা বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে স্পিনারদেরও বিশ্বাস করি।'
মূলত ব্যাটসম্যানেরা পারফর্ম করতে না পারার কারণেই এখন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সবাইকে জানান রিয়াদ। তাঁর বক্তব্য, 'দূর্ভাগ্যবশত, আমাদের ব্যাটসম্যানরা পারফর্ম করতে পারেনি তাই এখন এই ধরণের কথা হচ্ছে। আমি ডেড উইকেটে খেলব, বা জয়ের জন্য খেলব তাহলে মনে হয় আমাদের ক্রিকেট এগোবে না। সাফল্য আসবে, ব্যর্থতা আসবে। সাফল্য আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেবে, আমাদের আরও উন্নতিও হবে।'
একদম শেষে অতীত ঐতিহ্য টেনে আনেন মাহমুদুল্লাহ, 'আমার মনে হয় যে আপনি ওভারঅল দেখেন, বিদেশের ট্যুরগুলোও দেখেন যেখানে সাকিব ২০০ মেরেছে, মুশফিক ১৫০ মেরেছে, তামিম রান করেছে ধারাবাহিকভাবে মাশাআল্লাহ।
এই সময়ের মধ্যে আমরা ঘরের মাঠে ম্যাচ জিতেছি, শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিতেছি। তো আমার মনে হয়, এই ধরণের বাজিগুলো ধরতেই হবে। না হলে এভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলে কোন লাভ নেই।'