মিরপুরেও 'নিজেদের' উইকেটে খেলছে শ্রীলংকা

ছবি:

দেশের বাইরে যখন কোনো দল খেলতে যায়, তখন প্রত্যাশা আর প্রস্তুতি থাকে নতুন ধরণের কোনো উইকেটে খেলার। ক্রিকেটের শুরু থেকেই এই নিয়ম ধরাবাঁধা। ভিন্ন ধাঁচের উইকেটে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল।
কিন্তু এই নিয়ম থেকে ভিন্ন পথে হাঁটলো বাংলাদেশ। শ্রীলংকাকে উইকেট দেখিয়ে হতবাক করা তো দূরে, উল্টো শ্রীলংকা যে ধরণের উইকেটে খেলে থাকে সেই ধরণের উইকেটই বানানো হল ঢাকা টেস্টের জন্য। আর তাই উইকেট দেখে হতবাক লঙ্কান ব্যাটসম্যান রোশেন ডি সিলভা।
"আমাদের দেশে আমরা এমন উইকেটেই খেলি। আমি ভেবেছিলাম এটা ব্যাটিং উইকেট হবে। উপমহাদেশে যখন অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোনো দেশ খেলতে আসে তখন আমরা স্পিন উইকেট দিয়ে থাকি। আমি বুঝতেই পারছি না কেন এমন উইকেট দেয়া হলো।"

শুক্রবার দিনের খেলাশেষে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানাচ্ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। এখানে ব্যাটিং করার উপায়ও বাতলে দিলেন তিনি। আচমকা উইকেট পরতে থাকলে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই মনে করছেন রোশন।
"এখানে ব্যাট করতে যাওয়ার আগে, প্রার্থনা করা প্রয়োজন (মজা করে).. স্রেফ মজা করছিলাম। এই উইকেটে আসলে ভালো বল পেলে কিছু করার থাকে না। একটি-দুটি উইকেট দ্রুত চলে যেতে পারে। আলগা বল পেলে তাই সেটিকে কাজে লাগাতেই হবে।"
কেমন ধরণের উইকেট প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি সেটাও জানিয়েছেন রোশন। "উপমাহাদেশে আপনাকে অবশ্যই স্পিন এবং রিভার্স সুইংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
"অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেলে সেখানে পেস আক্রমণ দেখবেন। আমরা এখানে আসার আগে কঠোর পরিশ্রম করেছি। কেমন উইকেটে খেলতে হবে সেটা আমরা জানতাম। বিশেষ করে আমার মানসিক প্রস্তুতি ছিল।"