নয়া বিপদে বাংলাদেশ

ছবি:

ঢাকা টেস্টের আগে উইকেট নিয়ে দোটানায় ভুগছে বাংলাদেশ। মিরপুর স্টেডিয়ামের চিফ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার বানানো উইকেটে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ হারের পর উইকেট নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে।
২০১১ সাল থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা গামিনির কাছে ফাইনালের ম্যাচে ব্যাটিং স্বর্গ চেয়েছিল বাংলাদশ দল। কিন্তু হয়েছে উল্টো। ব্যাটিং উইকেটের বদলে স্পিন বান্ধব উইকেট দেয়া হয়েছে টাইগারদের।
পরবর্তীতে গামিনির কাছে জবাব চেয়ে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এরপর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই চিটাগং টেস্টের পর ঢাকা টেস্টে কেমন উইকেট চাইবে বাংলাদেশ এবং কি দেয়া হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
ঢাকায় গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশকে কেউই হারাতে পারেনি। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে গামিনি ও হাতুরুর সাহায্যেই ঢাকার মাঠে হারিয়েছে মুশফিকের বাংলাদেশ। স্পিন স্বর্গ বানিয়ে দুই পরাশক্তিকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল বাংলাদশ।

কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্পিন স্বর্গ বানিয়ে কি লাভ হবে? লঙ্কান ক্যাম্পেও তো স্পিন শক্তি কম নয়, বরং সাকিববিহীন বাংলাদেশের চেয়েও শক্তি বেশি লঙ্কানদের। দুই সপ্তাহ আগেই লঙ্কান স্পিনের বিপক্ষে আবার সম্প্রতি ৮২ ও ১৪২ রান অল আউট হয়ে ফাইনাল হেরেছে বাংলাদেশ।
তখন অবশ্য লঙ্কানরা ঢাকার উইকেট নিয়ে অভিযোগ করেনি, করেছেন চিটাগং টেস্টের উইকেট নিয়ে। ওপেনার করুনারাত্না তো স্পষ্ট ভাষায় উইকেটের সমালোচনা করেছেন। পুরো পাঁচ দিনে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা বোলারদের ছাতু বানিয়ে ১৫৩৩ রান তুলেছে।
সবাই আশা করছিল, অন্তত পঞ্চম দিনে কিছুটা হলেও স্পিন ধরবে চিটাগংয়ের উইকেটের। বিশেষ করে চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় ৮১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদশ পঞ্চম দিনে আরও আড়াইশ রান যোগ করে ম্যাচ ড্র করে।
এখন ঢাকার উইকেট কেমন হবে এবং দল নির্বাচন কেমন হবে সেটা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা আছে তো বাংলাদেশের? কারন চিটাগং টেস্টে দল ভর্তি স্পিনার নিয়েও কোন লাভ হয়নি। উইকেট ছিল ঢাকা চিটাগং হাইওয়ের মত।
দ্বিতীয় টেস্টের আগে অবশ্য সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটল বাংলাদেশ দল। দুই স্পিনারকে ছাটাই করে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানকে সুযোগ দেয় নির্বাচকরা। অথচ ব্যাটিং অর্ডারে সাব্বিরের জায়গাই নেই!
ইমরুলকে নিয়ে তামিমের ওপেনিং জুটির পর মমিনুল, মুশফিক, লিটন, মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেকের জায়গা পাকা। সাকিব না থাকায় একজন পেস বোলার ও একজন স্পিনার বাড়িয়ে ২০ উইকেট নেয়ার প্রত্যাশা করাটা স্বাভাবিক চিন্তা হতে পারতো। কিন্তু দলে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে সাব্বিরের অন্তর্ভুক্তি দোটানার জন্ম দিচ্ছে।