ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে রিয়াদের ফিফটি

ছবি:

আঙ্গুলের ইনজুরির কারনে সাকিবকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। যার কারনে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হত।
তাই হয়তো শুরু থেকে বেশ সতর্ক ছিলেন তামিম। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নয় লঙ্কানরা। বাংলাদেশকে আহত অবস্থায় পেয়ে চেপে ধরে দুই ওপেনিং বোলার লাকমল ও চামিরা।
১৮ বল খেলে মাত্র ৩ রান করা তামিম রানের খোঁজে চামিরাকে পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড অনে ক্যাচ তোলেন তিনি। তামিমের পথ ধরেন বিজয়ের বদলি হিসেবে ওপেন করতে নামা মিঠুন।
লাকমলকে নবম ওভারে ফররওয়ার্ড ডিফেন্স করে রান নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লং অনে সতর্ক থিসারা পেরেরার থ্রো'তে রান আউট হন মিঠুন। ২৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে চাপ মুক্ত করার দায়িত্ব বর্তায় সাব্বির-মুশফিকের উপর। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে প্রতি আক্রমন করার চেস্টা করেন সাব্বির। কিন্তু ফলাফল সাব্বিরের পক্ষে যায় নি।
চামারাকে পুল করতে গয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন তিনি। ২ রান যোগ করে দলীয় ২২ রানে সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির। উপরের সারির উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফেরান দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে বাউন্ডারির খোঁজে থাকা রিয়াদের ব্যাটে রান বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ। অন্য প্রান্তে মুশফিক প্রান্ত বদল করে খেলে জুটি বড় করে যান। তবে বিপদ ছিল সন্নিকটে।
২১তম ওভারে ধনঞ্জয়ার গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন ভালো খেলতে থাকা মুশফিক। তবে রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান তিনি। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তার। সেই ধনঞ্জয়ার করা ২৫তম ওভারে এসে সুইপ শট খেলার চেস্টায় টাইমিংয়ে গড়বড় করে বসেন মুশফিক।
শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলেন তিনি। ২২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। উইকেট পতনে ক্রিজে আসা মিরাজ ৫ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান। ধনঞ্জয়ার দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন তিনি।
ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের শেষ ভরসা তখন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৩১তম ওভারে এসে ৭০ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। একই সাথে দলের স্কোর একশ ছাড়া করেন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ-
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ-
উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দীনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেটরক্ষক), আসেলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, সুরঙ্গা লাকমল, দুশমন্ত চামিরা, শিহান মাদুশাংকা।