নাগালেই রইল শ্রীলঙ্কা

ছবি:

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশকে ২২২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল লঙ্কানরা। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে শ্রীলঙ্কাকে নাগালেই রাখল বাংলাদেশ। তবে চান্দিমাল ও থারাঙ্গার লড়াইয়ের সাথে টাইগার পেসারদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচের বড় খবর সাকিবের ইনজুরি। ফিল্ডিংয়ের সময় আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ব্যাটিংয়ের সময় সাকিবকে পাওয়া নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
এর আগে দলে তিনটি পরিবর্তন এনে ফাইনালে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। দল বদলের সুফর পেতে বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি টাইগারদের। অফ স্পিনার মিরাজকে মেরে খেলতে গিয়ে লং অনের ক্যাচ তোলেন তিনি। ৮ রান তুলতেই লঙ্কানদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান মিরাজ।
তবে সেই মিরাজের এক ওভারেই তিন ছয় ও এক চার হাঁকিয়ে ক্রিজে নিজের উপস্থিতি জানান দেন তরুন কুসাল মেন্ডিস। আগ্রাসী ব্যাটিং করে চাপ সরাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে মাশরাফি সেটা হতে দেননি। অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতা ৯ বলে ২৮ রান করা মেন্ডিসের কাল হয়ে দাঁড়ায়।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেস্টা করে লঙ্কানরা। থারাঙ্গা-ডিকওয়েলা জুটি গড়ে বড় পুঁজির ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু লঙ্কান হানিমুন পিরিয়ড বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রান আটকে সুযোগ সৃষ্টি করে লঙ্কান ক্যাম্পে ভীত ছড়ায় মিরাজ-মাশরাফিরা। তবে ভাগ্য কথা বলছিল থারাঙ্গা-ডিকওয়েলার হয়ে।

ম্যাচে ফিরতে উইকেট আবশ্যক ছিল। সাইফের প্রথম ওয়ানডে উইকেটের মধ্য দিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে টাইগাররা। ডিকওয়েলাকে বিদায় করে দুয়ার খুলে দেন তিনি। উইকেট পতনে লঙ্কানদের রান আটকে ফেলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশরা। চাপের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে লঙ্কানরা।
মিডেল ওভারে পেসারদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ফিফটি করা থারাঙ্গা ও ভয়ঙ্কর পেরেরাকে দ্রুত বিদায় করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। চান্দিমাল টিকে থাকলেও রুবেল-মুস্তাফিজরা জুটি গড়তে দেয়নি লঙ্কানদের। গুনারাত্নার পর একে একে লোয়ার অর্ডারের বাকী ব্যাটসম্যানদের স্থায়ী হতে দেয়নি রুবেল ও মুস্তাফিজ।
শেষ পর্যন্ত ২২১ রান তুলে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে দিনের সেরা বোলার ছিলেন রুবেল হোসাইন। সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া মুস্তাফিজ দুটি উইকেট নেন। মিরাজ ও মাশরাফি একটি করে উইকেট নেন। জয়ের জন্য বাংলাদেশের ২২২ রান দরকার।
বাংলাদেশ একাদশ-
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ-
উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দীনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেটরক্ষক), আসেলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, সুরঙ্গা লাকমল, দুশমন্ত চামিরা, শিহান মাদুশাংকা।