promotional_ad

'আত্মসমালোচনা করুক নাসির-সাব্বিররা'

promotional_ad

এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু টানা বাজে পারফর্মেন্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিলো তাঁকে।


এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে আবারো দলে ফেরেন নাসির। মাঝের সময়গুলোতে দলে আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। 


যতবার দল থেকে বাদ পড়েছেন ততবার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্মেন্স দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে দলে ফিরেছেন। কিন্তু দলে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেই পারফর্মেন্স ধরে রাখতে রাখতে পারেননি তিনি।


তার বাজে পারফর্মেন্সের চিত্র ধরা পড়েছে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজেও। বৃহস্পতিবার দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা যখন সাজঘরে তখন নাসিরের সামনে সুযোগ ছিল লম্বা ইনিংস খেলার।


উইকেটে থিতু হয়ে পারতেন দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে। কিন্তু দুশমন্ত চামিরার লেগ সাইডে করা ওয়াইড বলকে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার।



promotional_ad

নাসিরের মতো একই হাল সাব্বির রহমানেরও। বিতর্কে জড়িয়ে কয়েকদিন আগেই বাদ পড়েছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। সঙ্গে হয়েছেন ৬ মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ।


তারপরও ত্রিদেশীয় সিরিজে তাকে সুযোগ দেন নির্বাচকরা। জাতীয় দলের সুযোগ পাওয়ার পর নিজেকে মেলে ধরলেও সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছেন সাব্বির।


নাসিরের মত সাব্বিরের সামনেও সুযোগ ছিল ফাইনালের আগে নিজেকে ফর্মে ফিরিয়ে আনার। উইকেটে থিতু হতে পারলে খেলতে পারতেন ৩৫ ওভারের মতো। 


এতো সময় ব্যাট করার সুযোগ পেলে বিশ্বের যেকোন ব্যাটসম্যানই চাইবে দেখে শুনে খেলে নিজের ফর্ম ফিরিয়ে আনার বা লম্বা ইনিংস খেলার। কিন্তু না বিধ্বংসী হতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ১০ রান করে।


দলীয় ব্যর্থতায় বৃহস্পতিবার টাইগাররা লঙ্কানদের কাছে হেরেছে ১০ উইকেটে। ফাইনালের আগে এমন হার এবং ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্স চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে টিম ম্যানেজম্যান্টের উপর।



ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে খোদ কাপ্তান মাশরাফিকেও তাই এই নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হলো। সাব্বির এবং নাসিরের সমস্যা কি মানসিক ভাবে মানিয়ে নিতে না পারা নাকি ধৈর্য ধরে খেলতে না পারা এই প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন,  


'যে দুটো জিনিস বলেছেন এমনটা হতে পারে। মেন্টালি এই চাপটা নিতে পারছে কিনা, আরেকটা হচ্ছে টেম্পারমেন্ট। হয়তবা তারা রানটাকে বেশি পছন্দ করে, সময় কাটানোর চেয়ে মনে করে রানটা কুইক আসলে তাড়াতাড়ি সেট হয়ে যেতে পারে।'



মাশরাফি আরো বলেন, 'ফার্স্ট ক্লাসেও যদি দেখেন তিন, চার উইকেট পড়ার পরও স্ট্রাইকরেট কিন্তু ১০০ থাকে। কাজেই ওই অভ্যাসটা আমাদের কম। এমনকি ওয়ানডে ম্যাচেও যে কখনো কখনো উইকেট পড়ে গেলে ছোট সময়ে জন্য উইকেটে সেট হয়ে রান করা, ওই অভ্যাসটা হয়তোবা স্বাভাবিকভাবে আমাদের ক্রিকেটে একটু কম আছে। এখানে একটা ঘাটতি থাকতে পারে। আমার মনে হয় ওরা নিজেরাও খারাপ ফিল করছে আমার থেকেও। আমি চাইব যে ফাইনালের আগে এটা নিয়ে তারা চিন্তা করুক।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball