রঙ্গিন জার্সিতে অ্যাশেজের বদলা

ছবি:

সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের মাটিতে সিরিজ জেতা সফরকারী দলের জন্য রীতিমতো সুসাধ্য ব্যাপার গুলোর একটি। ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড দল কঠিন কাজটাই করে দেখালেন। অজিদের আঙ্গিনায় টানা তিন জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেদের সামর্থ্যর কথা জানান দিল ইংলিশরা।
৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের চেনানোর বাকী ছিল ইংলিশদের। মেলবোর্ন, ব্রিসবেনের পর আক্রমণাত্মক ও চোখ জুড়ানো ক্রিকেট খেলে সিডনিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো মরগান বাহিনী।
সিরিজ বাঁচিয়ে রাখে ইংলিশদের ছুঁড়ে দেয়া ৩০৩ রানের কঠিন পুঁজি তাড়া করতে হত অজিদের। ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন হোয়াইটের দ্রুত বিদায় অজিদের বড় পুঁজি তাড়া করার কাজটা কঠিন হয়ে যায়।
সিরিজে জোড়া ফিফটি হাঁকানো ফিঞ্চ ও কাপ্তান স্মিথ জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দিলেও সহজে ম্যাচ নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি ইংলিশরা। লেগি আদিল রাশিদ মিডেল ওভারে এসে উইকেটে জমে যাওয়া ফিঞ্চকে ৬২ রানে ফিরিয়ে দিয়ে অজিদের লাগাম টেনে ধরেন।

তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ফাস্ট বোলার মার্ক উড। ভালো খেলতে থাকা স্মিথকে ৪৫ রানে উইকেটের পেছনে বাটলারের ক্যাচে পরিনত করেন তিনি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে হারালে হাল ছাড়েন নি অজি মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
মার্শ ও স্টইনিস আগ্রাসী ব্যাটিং করে অজিদের সঠিক পথে রাখেন। এক পর্যায়ে ম্যাচের পাল্লা অজিদের দিকে হেলে পড়ে। কিন্তু লেগ স্পিনার রাশিদ সিরিজে তৃতীয় বারের মত মার্শের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনেন।
তবে ডেথ ওভারে চাপের মুখে মার্ক উড ও ক্রিক ওকসে ১৬ রানের জয় পায় ইংলিশরা। উড, ওকস ও রাশিদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। কিন্তু সিডনিতে সিরিজ জয়ের ম্যাচটি বাকী দুই ম্যাচের মত সহজ ছিল না।
আগে ব্যাট করা ইংলিশরা অল্পতে হেইলস, রয় ও বেয়ারস্টোর উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল। রুট ও মরগান উইকেটে জমে বিদায় নিলে এক পর্যায়ে লড়াই করার মত পুঁজিও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
কিন্তু ইংলিশদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান জস বাটলার। মিডেল ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলে শেষ দশ ওভারে ক্রিস ওকসকে সাথে নিয়ে ইংলিশ স্কোর বাড়িয়ে নেন তিনি।
শেষ ওভারে ওকস ও বাটলার দুইজনই ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের সাথে দলের স্কোর তিনশ ছাড়াতে সাহায্য করেন। ওকস ৩৬ বলে ৫৩ ও গেইন চেইঞ্জার বাটলার ৮৩ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।