promotional_ad

ইংলিশরা ভীত!

promotional_ad

ইংল্যান্ডে জোরে বল করা বোলারদের গুরুত্ব দেয়া হয় না। নিজেদের কন্ডিশনে মিডিয়াম ফাস্ট বোলারদের দিয়েই টেস্ট জয় করা সহজ, তাই নব্বই মাইল বেগে বল করা ফাস্ট বোলাররা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, এমন ইঙ্গিত দিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী মাইকেল হোল্ডিং।


হোল্ডিং বলছেন, ফাস্ট বোলারদের জন্য ইকনমি রেট নয়...উইকেট শিকার করাটাই মুখ্য। 'উইকেট শিকার করতে পারাটাই মূল ব্যাপার। ইকনোমি রেট কোন ব্যাপার না। কিন্তু আমি গত দশ বছর ধরে দেখছি, ইংল্যান্ড এইভাবে চিন্তা করতে চায় না।'


অ্যাশেজ সিরিজে মিচেল স্টার্ক গড়ে ৮৯ মাইল বেগে বল খেলেছে। স্টার্কের নতুন বলের সঙ্গী জস হেজেলউড গড়ে ৮৮.৮ মাইল বেগে বল করেছেন পাঁচ টেস্ট জুড়ে। আরেক ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সও গতির ঝড় তুলেছেন সিরিজ জুড়ে। গড়ে ৮৮.১ মাইলে বল করে এসেছেন তিনি।


অন্যদিকে ইংলিশ পেসারদের মধ্যে ক্রিস ওকস ছিলেন সর্বোচ্চ গতির বোলার। গড়ে ৮৬.৬ মাইল বেগে বল করেছে তিনি। সত্যিকারের ফাস্ট বোলারের অভাব হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে ইংলিশরা। 


৬০ টেস্টে ২৪৯ উইকেটের মালিক মাইকেল হোল্ডিং বলছেন, ইংলিশরা ফাস্ট বোলারদের সুযোগ করে দিতে এক রকম ভয়ে থাকে। 'অ্যাশেজে তাদের সত্যিকারের ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল। ইংল্যান্ডের নব্বই মাইলে বল করতে পারে এবং ফিট থাকতে পারে... এমন ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করতে হবে। ইংল্যান্ডের আগেও এমন ফাস্ট বোলার ছিল। এখন খুঁজে না পাওয়ার কোন কারন দেখি না। আর ইকনমি রেট কোন ব্যাপারই না।'



promotional_ad



হোল্ডিং এই ইস্যুতে স্টিভেন ফিনের উদাহরন টেনেছেন, ২৮ বছর বয়সী ফিন ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ স্কোয়াডের অংশ ছিলেন। কিন্তু হাঁটুর ইনজুরি সফরের নবম দিনেই ফিনকে দেশে ফিরে আসতে হয়। 


৩৬ টেস্টে ১২৫ উইকেটের মালিক স্টিভেন ফিন ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য পরিচিতি ছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে ফাস্ট বোলারেদের জোরের উপর বল করতে উৎসাহ দেয়া হয় না। বরং কম রান দিয়ে বল সুইং করাতে পারলে ভালো বোলারের তকমা মিলে। 


'আমি স্টিভেন ফিনের কথা অনেক শুনেছি। বলা হয় সে নাকি ওভার প্রতি চার রান করে খরচা করে। কিন্তু সে উইকেট শিকার করে। এক সময় সে দলের সিনিয়র বোলারদের থেকেও বেশি উইকেট নিচ্ছিল। ইকনমি রেট মোটেও বড় বিষয় না, উইকেট নেয়াটাই মুখ্য।'


তবে টানা ৯০ মাইল বেগে বল করে যাওয়া সহজ কথা না। সেটাও মানেন এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী। বিশেষ করে কাউন্টি মৌসুমে সব ম্যাচে অংশ নিলে ফাস্ট বোলারদের গতি কমতে বাধ্য। 



কারন এক মৌসুমে টানা ১৪টি চার দিনের ম্যাচ খেলা হয় কাউন্টি ক্রিকেটে। কাউন্টিতে টানা ক্রিকেটের ধকলের শিকার হয়েছিলেন গ্রেট মাইকেল হোল্ডিংও। খেলোয়াড়ি জীবনে কাউন্টি মৌসুমের পর নিজের গতি হারানোর অভিজ্ঞতা খুব সুখকর ছিল না বলে জানিয়ছেন তিনি। যার জন্য ফাস্ট বোলারদের ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট ইস্যুতে আরও সতর্ক হওয়ার আহবান জানান হোল্ডিং।


সূত্রঃ বিবিসি স্পোর্টস



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball