হতাশার চেয়ে চ্যালেঞ্জই বেশি ছিল বিজয়ের

ছবি:

বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন প্রায় তিন বছর আগে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে চোটে পড়ে ছিটকে যান দল থেকে। তারপর, ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেও দলে জায়গা হচ্ছিলো না বিজয়ের।
সেরে ওঠার পরেও সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ফর্মের কাছে পাত্তা পাননি বিজয়। এবার সৌম্যের খারাপ ফর্মে ফের সুযোগ মিলল তার। টাইগারদের আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজের ১৬ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে বিজয় জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরমেন্স করেও দলে জায়গা না পাওয়ায় হতাশার চেয়ে চ্যালেঞ্জ ছিল বেশি।

বিজয়ের ভাষ্যমতে, "হতাশার চেয়ে বেশি ছিলো চ্যালেঞ্জ। আমার জন্য ঘরোয়া পর্যায়ের প্রত্যেকটা আসরই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। প্রিমিয়ার লিগেই যেমন, শেষ হলেই কথা উঠতো বিজয় কতো রান করলো। বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একই কথা। বিপিএলেও সবাই দেখেছে কতো করলাম। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। নিজেকে আরো ভালো কিছুর জন্য অনুপ্রাণিত করা। ভালো খেলতে না পারাই হতাশার। জাতীয় দলে সবাই যখন ভালো খেলে, তখন আসলে নিজের জন্য হতাশ লাগে না। বরং দেশ ভালো খেললে ভালো লাগে। আমি সব সময় বড় স্বপ্ন দেখি। এ কারণে হয়তো হতাশ লাগে না।"
এই দীর্ঘ সময় দলের বাইরে থেকে নিজের পারফরমেন্সে উন্নতি আনার চেষ্টা করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তিনি মনে করেন জাতীয় দলের সাথে নিয়মিত খেলায় থাকলে তা সম্ভব হতো না। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকায় অভিজ্ঞতা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, "আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার একটা ব্যাপার আছে। লম্বা কিছু ম্যাচ খেলেছি। সম্ভবত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। ওয়ানডেও খেলেছি ৪০টার মতো। এটা একটা অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ওয়ানডে লিগে বা প্রথম শ্রেণির লিগে দলকে জেতানো বা জেতা দলে থাকা; এটাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ছোটখাট আরো অনেক কিছু থাকে। ব্যাটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানো, কিপিংয়ে কিছু কাজ করা; আসলে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকলে উন্নতির সুযোগটাই বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি অনেক বেশি হয়েছে। ইনিংসগুলো বড় হচ্ছে। দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। সব কিছুতেই নিজেকে আগের থেকে ভালো লাগছে।"
সংবাদমাধ্যমে রটেছে টাইগারদের সদ্য বিদায়ী কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে পছন্দ করতেন না বিজয়কে। তাই দলে জায়গা হয়নি তার। তবে, এই টাইগার ক্রিকেটার বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবেই নিচ্ছেন, "ওইভাবে কখনো ভাবিনি। একজন একজনকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা জোর করে কিছু হয় না। আমার জন্য পারফর্ম করে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এ জন্য তাই বিশ্বাস ছিলোই। কোচের বিষয়ে তাই চিন্তা ছিলো না। কেউ আসবে, কেউ যাবে; কিন্তু আমাকে খেলে যেতেই হবে।"