promotional_ad

মাশরাফি-সাকিবদের ২০১৭ সালের সেরা মুহূর্ত

promotional_ad

২০১৭ সাল টাইগার ক্রিকেটের জন্য অনেক হতাশা ও আনন্দের মিশেলে ভরা একটি বছর। তবে হতাশা না আনন্দের মাত্রা বেশি সেই তর্ক থাক। ঘরের মাঠ আর বিভিন্ন দেশ ঘুরে এবছর দেশের ক্রিকেটাররা টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে ২৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে ৭ টি টেস্ট, ১৩ টি ওয়ানডে ও ৭  টি-টুয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। কিন্তু এই ২৭ ম্যাচের মাত্র দুটি টেস্ট খেলেছে ঘরের মাঠে। বাকী সব ম্যাচই খেলতে হয়েছে ভিনদেশে।


সবমিলিয়ে, ২ টেস্টে, ৪ ওয়ানডে ও ১ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইগারদের। আপাত দৃষ্টিতে ২৭ ম্যাচে ৭ জয় খুব একটা মানানসই নয়। কিন্তু টাইগার ক্রিকেটাররা ভিনদেশে লড়াকু মনোভাব দেখিয়ে ভবিষ্যতে ভালো খেলার যে প্রত্যয় যুগিয়েছে তা দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মনে নতুন স্বপ্নের জাল বুনেছে।


এবছর সিনিয়র টাইগার ক্রিকেটাররা ছাড়া নতুনরা ব্যাটে বলে খুব একটা আহামরি স্বাচ্ছন্দ্যে না থাকলেও বেশ কয়েকটি কীর্তিতে নিষ্প্রভ ২০১৭ সালকে ভালোই আলোকিত করেছে তাঁরা। উদাহরণ হিসেবে এবছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টাইগারদের কীর্তি ভোলার মত নয়। এমনকি লঙ্কানদের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডে সমানে সমানে লড়ে শিরোপা ভাগাভাগি করে দেশে ফিরেছিল টাইগাররা।


'হোম অফ ক্রিকেটে' অজি বধ এদেশের ক্রিকেটের উন্নতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। লঙ্কানদের সাথে টেস্টে ও ওয়ানডেতে নিজেদের জাত চেনানো, অজিদের টেস্টে বধ, চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনাল ও সোফিয়া গার্ডেন্সে সাকিব-মাহমুদুল্লাহ'র কীর্তি এবছর দেশের ক্রিকেটের সেরা অর্জন।


আর দেশের ক্রিকেটের সেরা অর্জন নিয়ে টাইগার ক্রিকেটের ২০১৭ সালের সেরা মুহূর্ত গুলো ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা 


#১ শ্রীলঙ্কার মাঠে ইতিহাস রচনা...



promotional_ad

২০০০ সালে টাইগাররা টেস্ট স্বীকৃতি পেলেও লঙ্কানদের সাথে টেস্ট খেলা শুরু করে ২০০১ সালে। এরপর ১৬ বছরে লঙ্কানদের সাথে ১৬ টি টেস্ট খেললেও প্রতিবারই জয়হীন থাকতে হয় টাইগারদের। কিন্তু ২০১৭ সালের শুরুতে ২ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে লঙ্কান দুর্গ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে জয় তুলে নিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করে দেশের ক্রিকেটাররা। সাকিব-তামিমদের অসাধারণ নৈপুণ্যে  শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় তুলে দেশের ক্রিকেটের মুখ উজ্জ্বল করে বাংলাদেশ।


#২ ভিনদেশে হার না মানা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ... 


এবছরের ৭ ই মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়। লঙ্কানরা নিজেদের মাঠ গলে প্রথম টেস্টে ২৫৯ রানের জয় পেলেও পরের ম্যাচেই সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা। ফলশ্রুতিতে দুই টেস্টের সিরিজে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ হয়। একই সফরে শ্রীলঙ্কার সাথে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে প্রথম ম্যাচেই জয় পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে তৃতীয় টেস্টে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় আসে লঙ্কানরা। কিন্তু টি-টুয়েন্টি সিরিজে টাইগাররা ২-১ এ হেরে গেলেও টেস্ট ও ওয়ানডেতে সমতায় থেকে অনন্য মর্যাদা নিয়ে দেশে ফেরে ক্রিকেটাররা। 


#৩ আন্ডার-ডগ বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কীর্তি...


২০১৬ সালে সেরা আটের মধ্যে থেকে আগেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকেট কেটে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু ইংলিশ পেস বান্ধব উইকেটের বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড,  পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মত দেশের ভিড়ে বাংলাদেশকে খুব নগণ্য মনে হচ্ছিল। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৫ রান করে নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দেয় টাইগাররা। ইংলিশদের বিপক্ষে হেরে গেলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারন জয় তুলে নিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের সাথে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।


#৪ সোফিয়া গার্ডেন্সে সাকিব-মাহমুদুল্লাহ'র কীর্তি...



চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিলনা টাইগারদের সামনে। শুরুতে ব্যাটিং করে ২৬৬ রানের মোটামুটি বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। শুরুতে চার উইকেট হারালেও দমে যাননি দুই টাইগার ব্যাটসম্যান সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। ৩৩ রান থেকে ২২৪ রানের জুটি গড়ে দলকে তাঁরা নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। দুইজনই তিন অঙ্কের ম্যাজিক নম্বর স্পর্শ করেন। ইংল্যান্ডের সোফিয়া গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে দলকে সেমিফাইনালে তুলে নতুন কীর্তি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। এমনকি সাকিব-মাহমুদুল্লাহ'র এই জুটি জায়গা করে নেয় পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকার তৃতীয় স্থানেও। 


#৫ হোম অফ ক্রিকেটে অজি বধ...


নানা নাটকীয়তা শেষে অবশেষে অজিরা এবছরের আগস্টে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। আর এসেই টাইগারদের কাছে প্রথম টেস্টে নাকানি-চুবানি খেতে হয় স্টিভেন স্মিথের দলকে। মিরপুরের প্রথম টেস্টে প্রথমবারের মত টেস্টে অজিদের পরাজয়ের স্বাদ দেয় টাইগাররা। ২০ রানের এই টেস্ট জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ১০ উইকেটের পাশাপাশি ৮৯ রান করে অজি বধ কাব্যের মূলমন্ত্র পাঠ করেন এই অলরাউন্ডার।  এর আগে অজিদের সাথে ৪ টি টেস্ট খেললেও কখনো জয় পাওয়া হয়নি টাইগারদের। এমনকি কোন টেস্টে ড্রও করতে পারেনি দেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু এবছর অজিদের ঘরের মাঠে হারিয়ে নতুন এক যুগের সূচনা করেন টাইগার ক্রিকেটাররা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball