ম্যাচ সংখ্যা বাড়লো বাংলাদেশের, কপাল পুড়লো ভারতের

ছবি:

সপ্তাহ খানেক আগেই ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) ম্যাচের সূচি প্রকাশ করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।
প্রকাশিত সেই সূচি অনুযায়ী ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার পর সবচেয়ে বেশী ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশ দলের। তবে এফটিপির প্রকাশিত সূচি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল পাকিস্তান।
ইমাদ-সরফরাজদের জন্য মাত্র ১০৪টি ম্যাচ ঠিক করে দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ৬ দিনের মাঝেই তাঁদের ম্যাচসংখ্যা বাড়িয়ে নতুন সফরসূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি।
প্রস্তাবিত নতুন এফটিপি অনুযায়ী সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১২১টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। ইএসপিএন-ক্রিকইনফো থেকে পাওয়া তথ্য মতে, আইসিসির এক মিটিংয়ের পর সদস্যরা এফটিপির আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করেছেন।

সেখানে পাকিস্তানের ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। একই সাথে বাংলাদেশের ম্যাচসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে টেস্ট এবং ওয়ানডের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে টাইগারদের। শুধু বেড়েছে দুটি টি-টোয়েন্টি।
সর্বমোট ম্যাচসংখ্যার দিক থেকে এখনো পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দুটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি বৃদ্ধি পেয়েছে পাকিস্তানের। পাকিস্তানের মত এতোগুলো ম্যাচ না বাড়লেও দুটি টি-টুয়েন্টি বেশী খেলবে বাংলাদেশ দল।
নতুন এফটিপি অনুযায়ী, বাংলাদেশের ওয়ানডে এবং টেস্টের ম্যাচ সংখ্যায় কোন পরিবর্তন আসেনি। ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে ৩৫টি টেস্ট এবং ৪৫টি ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা। তবে টি-টোয়েন্টির সংখ্যা ৪২ থেকে ৪৪-এ উন্নীত হয়েছে।
পাকিস্তানের ম্যাচসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়া (১২৩), বাংলাদেশ (১২৪) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার (১২২) সঙ্গে তাদের ব্যবধান কমে এসেছে। নিউজিল্যান্ড (১১৯) পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তানের চেয়ে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত এফটিপি প্রকাশ করবে। তবে কপাল পুড়েছে ভারতের। ভারত আগের মতোই ৩৭টি টেস্ট এবং ৬১টি ওয়ানডে খেলবে। তবে টিম ইন্ডিয়ার টি-টোয়েন্টির সংখ্যা ৬১ থেকে কমে ৫৩-তে নেমেছে।