মাশরাফি-১২, আশরাফুল-১৬

ছবি:

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এর মধ্যে অনেক ব্যাটসম্যানই শুন্য রানে আউট হয়েছেন বেশ কয়েকবার।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবথেকে বেশিবার শুন্য রানে আউট হওয়ার নজির রয়েছে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১টি টেস্ট খেলা আশরাফুল ১৯ ইনিংসে মোট ১৬ বার শুন্য রানে আউট হয়েছিলেন।
তালিকার দ্বিতীয়তে আছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মোট ৪৬ ম্যাচ খেলে ৬৭ ইনিংসে ১২ বার রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন তিনি।
পরের স্থানটি আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের। ৪৪ ম্যাচে ৮৪ ইনিংসে মোট ১১ বার শুন্য রানে অাউট হয়েছিলেন পাইলট।

পাইলটের পর চতুর্থ স্থানে যিনি আছেন তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। তাঁর নাম মনজুরুল ইসলাম রানা। প্রয়াত এই ক্রিকেটার ১৭ ম্যাচে ৩৩ ইনিংস খেলে মোট ১০ বার শুন্য রানে অাউট হন।
তালিকার পঞ্চমে আছেন দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার শাহাদাত হোসেন। ৩৮টি টেস্টের মধ্যে ৬৯ ইনিংস মোট ১০ বার শুন্য রানে অাউট হয়েছিলেন তিনি।
ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে আছেন যথাক্রমে তাপস বৈশ্য, রাজিন সালেহ, মোহাম্মাদ রফিক, মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ শরীফ। একসময়ের অন্যতম সেরা পেসার তাপস বৈশ্য মোট ২১টি টেস্টে ৯ বার শুন্য রানের লজ্জায় পড়েছিলেন।
তবে সপ্তম স্থানে থাকা রাজিন সালেহ পুরোদস্তুর একজন টেস্ট ব্যাটসম্যান হওয়া সত্ত্বেও ২৪ ম্যাচে ৮ বার শুন্য রানে আউট হয়েছিলেন। অপরদিকে অাট নম্বরে থাকা সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মাদ রফিক ৩৩ ম্যাচ খেলে রাজিনের সমান ৮ বার শুন্য রানে অাউট হয়েছিলেন।
সদ্য বিদায়ী টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও অবশ্য কম যাননা। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলে তাঁকেও ৮ বার শুন্য রানে ফিরতে হয়েছে। তালিকার সর্বশেষে রয়েছেন সাবেক পেসার মোহাম্মদ শরীফ। ২০ ইনিংসে মোট ৭ বার শূন্য রানে অাউট হয়েছিলেন তিনি।