মনে হয়েছে এখনই থেমে যাওয়ার সময়: রাসেল

ছবি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট

২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রাসেল। তবে পরবর্তী সময়ে জাতীয় দলের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই বেশি সময় পার করেছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। একটা সময় ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি খেললেও ২০১৯ সাল থেকে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলছেন তিনি। তবুও মাঝে অনেকদিন জাতীয় দলের আশেপাশে ছিলেন না রাসেল।
রাসেলের বিদায়ী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ইংলিস-গ্রিন
১৩ ঘন্টা আগে
কখনো তাকে বিবেচনা করা হয়নি আবার কখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দল থেকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে প্রায় বেশিরভাগ লিগেই নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন তিনি। আইপিএলের পাশাপাশি বিপিএল, পিএসএল, ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি, সিপিএল, দ্য হান্ড্রেড, এলপিএল, এপিএল, চ্যাম্পিয়ন লিগ টি-টোয়েন্টি ও মেজর লিগ ক্রিকেটের মতো টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করেছেন তিনি।

২০১১ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া রাসেল জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৮৬ ম্যাচ খেলেছেন। ১৬৩.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ১ হাজার ১২২ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে ৬১ উইকেট নিয়েছেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার। নিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৩৬ রান করেছেন রাসেল। তবে বল হাতে উইকেটের দেখা পাননি। ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপের আগে অবসর নিয়ে মুখ খোলেন রাসেল।
ওয়েনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ে সিরিজ শুরু অস্ট্রেলিয়ার
২১ জুলাই ২৫
এ প্রসঙ্গে তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে এখনই থেমে যাওয়ার সময় এসেছে এবং এখান থেকেই ছেলেরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে) এগিয়ে নেবে। দলে কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। (রোমারিও) শেফার্ড বেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। (শেরফান) রাদারফোর্ড, আলজারি (জোসেফ) এবং (জেসন) হোল্ডারের মতো খেলোয়াড়ও দলে আছে।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে ঢোকার সময় ‘গার্ড অব অনার’ দেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। ফ্রেমে বাঁধাই করা ব্যাট ও বলের স্মারক দেয়া হয় রাসেলকে। ম্যাচ জুড়েই তাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কের সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে তাই সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারকা অলরাউন্ডার। তিনি আশা করেন, সবাই এভাবেই সমর্থন দিয়ে যাবেন।
রাসেল বলেন, ‘স্যাবাইনা পার্কে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরেছি। স্থানীয় দর্শক, পরিবার ও বন্ধুদের সামনে খেলেছি। এই সুযোগ করে দেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। আপনাদের সমর্থন পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি, দলের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনারা এভাবেই সমর্থন দিয়ে যাবেন।’