৪২৯ রানের ম্যাচে পেরেরার সেঞ্চুরিতে জিতল শ্রীলঙ্কা
ছবি: কুশল পেরেরার আরেকটি দারুণ শট, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট
তিন ম্যাচ সিরিজটি অবশ্য আগেভাগেই নিজেদের করে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। আর আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিরল এক রেকর্ডও করল শ্রীলঙ্কা। ২০০৬ সালের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবারই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি জিতেছে দলটি।
ম্যাচটিতে পেরেরার বিধ্বংসী সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই পাঁচ উইকেটে ২১৮ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ৪৬ বলে ১৩টি চার আর চারটি ছক্কায় পেরেরা করেন ১০১ রান।
এ দিন মাত্র ৪৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান পেরেরা। ফলে টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের ইতিহাসের সর্বকালের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনিই। ড্যারিল মিচেলের বলে পয়েন্টে রাচিন রবীন্দ্রকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে দলকে দুইশ রান পার করার তিনে নামা এই ব্যাটার।
এ ছাড়া ২৪ বলে একটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪৬ করেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। জাকারি ফোকসের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন আসালঙ্কা। লঙ্কানদের হয়ে এ দিন উল্লেখ করার মতো রান করেননি আর কোনো ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে পাঁচজন বোলার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাব দিতে নেমে ১৫ ওভার পর্যন্ত দারুণভাবে লড়াইয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। ওভারপ্রতি ১১ রান করে লাগতো, ঠিকই সে চেষ্টা করে গেছে স্বাগতিকরা। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮১ রান। ২১ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যান টিম রবিনসন।
এরপর আসালঙ্কা এসে মার্ক চ্যাপম্যান (৯) এবং গ্লেন ফিলিপসকে (৬) ফেরালে কিছুটা চাপে পড়ে দলটি। নিজের পরের ওভারে ৩৯ বলে ৬৯ রান করা রাচিনকেও বোল্ড করেন লঙ্কান অধিনায়ক। এরপর ড্যারিল মিচেলের ইনিংসে কিছুটা এগিয়ে গেলেও লাভ হয়নি।
১৭ বলে ৩৫ করা মিচেলকে ফেরান নুয়ান থুসারা। শেষদিকে নয় নম্বর ব্যাটার ফোকসও কিছুটা ভয় জাগান লঙ্কানদের মনে। মিচেল সান্টনার ১০ বলে ১৪ এবং ফোকস ১৩ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকে পরাজয়ের ব্যবধানটাই কেবল কমিয়েছেন।