আইসিসির ‘ছাড় পাওয়া’ কোহলিকে ভাগ্যবান মানছেন শাস্ত্রী-ভোগলেরা
ছবি: স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কা দেয়ার পরও ভারতের দর্শকের সমর্থন পেয়েছেন বিরাট কোহলি, এএফপি
অনেকে ফলাও করে লিখছিলেনও সিডনি টেস্টে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন কোহলি। যদিও এমন কিছুই শেষ পর্যন্ত হয়নি। দিনের খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট লেভেল ওয়ানের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে ভারতের তারকা ব্যাটারকে শাস্তি দিয়েছেন। যেখানে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করার সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে তাঁর নামের পাশে। এমন শাস্তিতে অনেকে মনে করছেন কোহলিকে ছাড় দিয়েছে আইসিসি। লঘু শাস্তিতে ভারতের দুই ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী ও হার্শা ভোগলেও কোহলিকে ভাগ্যবান মানছেন।
আইসিসির আচরণবিধির ২.১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ক্রিকেটে যেকোনো ধরনের শারীরিক সংঘর্ষ নিষিদ্ধ। সেটা ইচ্ছাকৃত হোক, বেপরোয়াভাবে হোক কিংবা অবহেলা করে হেঁটে যাওয়ার সময়ই হোক। এমন ঘটনাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেভেন-২ এর অপরাধ বিবেচনা করে তিন কিংবা চার ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়। যার ফলে ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয় সেই ক্রিকেটারকে।
২০১৮ সালে প্রায় একই ধরনের কাজের জন্য ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। পোর্ট এলিজাবেথে স্টিভ স্মিথকে আউট করার পর তাঁর গায়ে কাঁধ লাগিয়েছিলেন সাউথ আফ্রিকার এই পেসার। অসঙ্গত ও ইচ্ছাকৃত হওয়ায় রাবাদাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিলেন ম্যাচ রেফারি জো ক্রো। অথচ প্রায় একই অপরাধ করে মাত্র ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় কোহলিকে ভাগ্যবান মানছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, ‘বিরাট যখন এই ঘটনাটা পেছন ফিরে দেখবে, সে ভাববে, যে শাস্তিটা পেয়েছে, সে জন্য সে ভাগ্যবান...মাঠে যে ঘটনা সবার শেষে দেখতে চাই, সেটা হলো শারীরিক সংঘর্ষ। এটা কেউ চায় না। এটা খেলা। কেউ এই সীমানাটা পেরোয় না...প্রায় দেড় যুগ হয়ে গেল সে খেলছে, পেছনে ফিরে এ ঘটনায় তাকালে সে গর্ব অনুভব করবে না।’
আরেক ধারাভাষ্যকার ভোগলে মনে করেন, ম্যাচ রেফারি কোহলির বিষয়টিকে খুব নরমভাবে দেখেছেন। সেই সঙ্গে তিনিও যে অন্যান্যদের মতো নিষিদ্ধের শঙ্কায় ছিলেন সেটাও ইঙ্গিত করেছেন। ভোগলে বলেন, ‘সে (কোহলি) ভীষণ ভাগ্যবান। ম্যাচ রেফারি কিছুটা নরমভাবে বিষয়টি দেখেছেন বলে মনে করি। আমি অবশ্য সবচেয়ে বাজে কিছুর শঙ্কায় ছিলাম।’