promotional_ad

এজ, এজ এবং এজ...

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


কয়েকদিনের খবর কোমরের চোটে অস্বস্তিতে তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বাঁহাতি এই ওপেনার খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাই তো টেস্ট শুরুর দিন তিনেক আগে ইনডোরে বেশিরভাগ ক্যামেরার লেন্স খুঁজে নিয়েছে তামিমকে। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কোমরের খেয়ালটাও রাখছিলেন তিনি।


কয়েক বলের ব্যবধানে বেশ কবারই কোমরে হাত দিতে দেখা গেছে বাঁহাতি এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত বেশিক্ষণ ব্যাটিং না করে মূল মাঠে চলে যান তামিম। তাকে নিয়ে চান্দিকা হাথুরুসিংহের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেটা বোধহয় আরও খানিকটা বাড়িয়েছেন লিটন দাস।


মাঠের এক পাশে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে নিক লি ও শেন ম্যাকডরমটকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিকেটারদের পর্যবেক্ষণ করছিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। তবে মিনিট পাঁচেক পর ডকস্টিক হাতে লিটনের নেটের পথে হাঁটা দেন হাথুরুসিংহে। সাকিব আল হাসান না থাকায় অনুমেয়ভাবেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন।


সাদা পোশাকে দেশকে নেতৃত্ব দেয়া গর্বের হলেও সেখানে আছে বাড়তি চাপ। সবশেষ ২০১৯ সালের সিরিজে আফগানদের কাছে হারায় সেই চাপটা বোধ আরও বেশি। মাঠে অবশ্য সেটি প্রকাশের সুযোগ নেই একদমই। শুরুতে সাবলীল ব্যাটিং করলেও পেস বোলারদের খেলতে গিয়ে খানিকটা অস্বস্তি ভুগছিলেন লিটন।


পেসারদের লেংথ ডেলিভারিগুলো যেন তাকে একটু বেশিই ভুগিয়েছে। এইতো শরিফুল ইসলামের সিমে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া এক বল খেলতে গিয়ে লিটন বল ঠেলে দিলেন স্লিপের দিকে। এবাদত হোসেনের ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই চিত্র। এজ হওয়া বল গুলোর চারটিই গেছে স্লিপের দিকে। টেস্ট ম্যাচে স্লিপ থাকা প্রায় অনুমেয়ই।



promotional_ad

এমন সমস্যা কাটিয়ে তুলতে লিটনকে নেটের বাইরে ডেকে নিলেন হাথুরুসিংহে। কথা বললেন মিনিট পাঁচেক, এরপর ডকস্টিক হাতে নিজেই থ্রোয়িং করতে শুরু করলেন। প্রতি বল ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলেন লিটনের দিকে, দেখিয়ে দিলেন শরীরের অবস্থান, ব্যাট পজিশন কেমন হবে।


শুধু তাই নয়, এবাদতের লাফিয়ে ওঠা একটি বল ব্যাটের হ্যান্ডেলে লাগাকালীন হাত সরিয়ে নিয়েছিলেন লিটন। একই লেন্থে বল করে প্রধান কোচ শ্যাডো করে দেখালেন, শরীরের ওজন কোন দিকে দিতে হবে এবং সফট হ্যান্ডে কিভাবে খেলতে হবে। এ ছাড়া শটস খেলার ক্ষেত্রে লিটনকে ব্যাট নরম হাতে শরীর ঝুঁকিয়েও খেলার পরামর্শ দিয়ে টানা থ্রোয়িং করে গেছেন হাথুরুসিংহে।


অনুশীলনে খানিকটা চতুরতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। শিষ্যকে লোভে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন ড্রাইভ করার বল। কিন্তু লিটন নিজেকে সামলে নিয়ে বল ছেড়ে দিলেন। কোচ এরপর আরেকটু সাম???ের লেন্থে বল ফেললে লিটন শক্ত হাতে তা ড্রাইভ করেন, কিন্তু কোচ সঙ্গে সঙ্গে এসে দেখালেন শরীর আরও একটু ঝুঁকিয়ে তা সফট হ্যান্ডে খেলার জন্য।


শুরু-শিষ্য অনুশীলনের মাঝে একাধিকবার ব্রেক নিয়েছেন। নেটের বাইরে গিয়ে আলাদা করে প্রতিবার আলাপ করেছেন দুজন। প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি চলে তাদের দুজনের আলাদা সেশন। এরপর একদম কোনার নেটে গিয়ে ম্যাকডরমটকে নিয়ে হাথুরুর দেখিয়ে দেয়া বিষয়গুলোই প্রয়োগ করতে থাকেন লিটন।


সে সময় বেশিরভাগ শটসই সফট হ্যান্ডে খেলতে দেখা যায় লিটনকে। এমনকি লেগ সাইডে খেলা শটগুলোর ক্ষেত্রেও লিটন একই পন্থা অবলম্বন করছিলেন। হাথুরুসিংহে এ সবই দূরে দাঁড়িয়ে মনোযোগ সহকারে দেখছিলেন। লিটনের আলাদা নেট সেশন শেষে আবারও তাকে নিয়ে খানিকক্ষণ আলোচনা করেন হাথুরুসিংহে। অনুশীলনের এই পর্ব শেষে লিটন চলে যান মূল মাঠের দিকে।


মাস তিনেক আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ বলে ৭৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। এই ইনিংসের আগে কয়েক ম্যাচ ছন্দ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। ইনিংস শেষে এক গণমাধ্যমকে এই ক্রিকেটার রহস্য খোলাসা করেছিলেন ছন্দ ফিরে পাওয়ার।



জানিয়েছিলেন, ম্যাচের দিনের সকাল বেলার ৫-৭ মিনিটের নকিংয়েই রান করার আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন তিনি। টি-স্পোর্টসকে নিজের ছন্দে ফেরার বিষয়ে লিটন বলেছিলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে আমি যখন নকিং করছিলাম, আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম না। আজকে যখন ম্যাচের আগে নকিং করলাম, তখন দেখলাম শেপ থেকে শুরু করে আমার ভালো অনুভূতি কাজ করছিল। একটা ব্যাটারের ভালো অনুভূতিটাই মূল বিষয়। আমার কাছে মনে হয় এই ফিলটার জন্যই আমার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল।’


‘যখন একটা ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে তখন আপনি বল ভালো দেখবেন। আমার কাছে মনে হয় এতোদিন যত অনুশীলন করেছি, নকিং করেছি...তার চেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে আজকে সকালে ৫-৭ মিনিট নকিং করে। নকিং করে আসলে খুব বড় কিছু হয়ে যায় না। তবে আমার মনে হয়, আমি ওখান থেকে অনেক বড় কিছু পেয়েছি।’


ইংল্যান্ড সিরিজে এক নকিং দিয়ে লিটন যেভাবে ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন। আয়ারল্যান্ড সিরিজের বিরতির পর ভিন্ন ফরম্যাটে ছন্দ খুঁজে পেতে হয়তো নেটই মূল ভরসা লিটনের। তাই তো অনুশীলনে সিরিয়াস হয়েই টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই ক্রিকেটার।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball