বাভুমার কাছে ডি কক চতুর এবং বুদ্ধিমান, ফখর বলছেন 'দোষ আমারই'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের দৌড়ে টিকে গেল পাকিস্তান
১২ ঘন্টা আগে
ফখর জামানকে বোকা বানিয়ে রান আউট করে এখন আলোচনায় কুইন্টন ডি কক। আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট বলছে, 'ফেক ফিল্ডিং' এর শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দল পায় বাড়তি ৫ রান যোগ হয় এবং বলটি বাতিল হয়। কিন্তু পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে এমন কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৭ রানে হেরে মাঠ ছাড়ে বাবর আজমের দল।
৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্যে পাকিস্তানকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ফখর একাই। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান, ফখর তখন অপরাজিত ১৯২ রানে। স্ট্রাইকেও ছিলেন তিনি। প্রথম বলেই দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হন এই ওপেনার।
লুঙ্গি এনগিডির বল লং অফে পাঠিয়ে দ্বিতীয় রান নিচ্ছিলেন ফখর। সে সময় ডি কক ফিল্ডারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে দেখান নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করতে। সেটা দেখেই ফখর দৌড়ের গতি কমিয়ে পেছন ফিরে সঙ্গী ব্যাটসম্যানের দিকে তাকান।

এইডেন মার্করামের থ্রো ছুটে আসে স্ট্রাইক প্রান্তে, ফখরের দিকেই। শেষ মুহূর্তে খেয়াল করে ফখর দ্রুত ক্রিজে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন বটে। তবে থ্রো সরাসরি স্টাম্পে লাগে আগেই। ১৮ চার ও ১০ ছক্কায় ১৫৫ বলে ১৯৩ রানে রান আউট ফখর
ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত থেকে আটকাতে ২০১৭ সালে ‘ফেক ফিল্ডিং’ আইন করে আইসিসি। যে আইনে বলা আছে, কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানকে ভিন্নমুখী বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে তা অন্যায্য হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে ৫ রান যোগ হয় এবং বলটি হয় ‘ডেড।’
রান আউটের পর মাঠের আম্পায়াররা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ডি কক ইচ্ছাকৃতভাবেই অমন করেছেন কিনা, তা বোঝাও কঠিন। কারণ কিপাররা হরহামেশাই এভাবে নির্দেশনা দেন ফিল্ডারদের। ম্যাচ শেষে সব ছাপিয়ে এটি নিয়েই চলতে থাকে আলোচনা।
ডি কককে আলোচনার জন্ম দিলেও রান আউটের জন্য নিজেকেই দুষছেন ফখর। তিনি বলেন, দোষ আমারই ছিল, আরেকপ্রান্তে হারিস রউফকে দেখতেই ব্যস্ত ছিলাম আমি। আমার মনে হয়েছিল, সে ক্রিজ থেকে একটু দেরিতে বেরিয়েছে, কাজেই বিপদে পড়বে সে। বাকিটা ম্যাচ রেফারির দেখার দায়িত্ব। তবে আমি মনে করি না কুইন্টনের দোষ আছে।'
এদিকে ফখরকে এভাবে বোকা বানিয়ে রান আউট করায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার প্রশংসা পেয়েছেন ডি কক। বাভুমা বলেন, 'কুইনি (ডি কক) বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। কেই কেউ হয়তো এটি নিয়ে সমালোচনা করতে পারে যে খেলাটির চেনার সঙ্গে যায় না। তবে আমাদের জন্য উইকেটটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জামান (ফখর) লক্ষ্যের কাছে এগিয়ে যাচ্ছিল। হ্যাঁ, কুইনি বেশ চতুর ছিল এখানে।'