ধোঁয়াশা দূর করলেন বিপ্লব

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
চট্টগ্রামে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে দুই উইকেট তুলে নিয়ে আলোচনায় এসেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। লেগ স্পিনারদের নিয়ে বাংলাদেশে যে হাহাকার ছিল, তাতে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন এই তরুণ।
বিপ্লবের অভিষেক ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের ফাইনালের টিকিট পাওয়ার দিনই দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে শরীয়তপুর থেকে উঠে আসা ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনারকে।
ফিল্ডিংয়ের সময় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার একটি শট ফেরাতে গিয়ে বাঁ হাতে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। লেগেছে তিনটি সেলাইও। যেকারণে ফাইনালের আগে তাকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়।

ম্যাচের পরের দিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে অবশ্য কথা বলেছেন এই তরুণ। সেখানে এসে নিজের প্রধান ভূমিকা নিয়ে সবার আগে কথা বলেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কিংবা হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটসম্যান হিসেবেই।
মাঝে প্রিমিয়ার লিগের সময় কাঁধে চোট ছিল বিধায় শুধু ব্যাটিংয়েই মন দিয়েছেন। তবে এইচপি দলে আসার পর কোচ সায়মন হেলমট তাকে বোলিংয়ে মনোযোগ দিতে বাধ্য করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় লেগ স্পিনার বিপ্লবের এই যাত্রা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বিপ্লব বলেন, 'আমি আসলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বোলিং করতাম। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে বোলিং করেছি। তবে মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতি গেছে বোলিংয়ে। আমার কাঁধে ইনজুরি ছিল যার কারণে তখন করতে পারতাম না।
প্রিমিয়ার লিগের সময় যখন আমার কাঁধের ইনজুরি হয় তখন আমি বোলিং করতে পারিনি। এরপর যখন এইচপিতে আসি তখন আল্লাহ্র রহমতে কাঁধ ভালো হয়। তখন সায়মন হেলমট আমার বোলিং নিয়ে কাজ করে, আমি ওয়াহিদ স্যারের সঙ্গে কাজ করেছিলাম।
তার আগে আমি সোহেল স্যারের সঙ্গেও কাজ করেছি। কিভাবে আমার বোলিং উন্নতি করা যায় সেগুলো নিয়ে। স্যার আমাকে উপদেশ দিয়েছে। সোহেল স্যার এবং ওয়াহিদ স্যারের যেগুলো ভালো সেগুলো মেনে চলার আমি চেষ্টা করে গেছি।'