নক আউটে চলে এসেছি, এটা ডু অর ডাই: মেহেদী
ছবি: বল হাতে ছন্দে আছেন শেখ মেহেদী, ক্রিকফ্রেঞ্জি
চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে হারতে হয়েছিল তাদের। ঢাকায় ফিরে সেই রাজশাহীর বিপক্ষে আরও একবার হার। নিজেদের দশম ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানরা জিততে পারেনি চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও। শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষেও হার দেখেছে রংপুর। টানা চার হারে এক সময় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর এখন এলিমিনেটরে।
শীর্ষ দশে মেহেদী, ৮৫ ধাপ এগোলেন জাকের
২৫ ডিসেম্বর ২৪প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের প্রতিপক্ষ দারুণ ছন্দে থাকা চিটাগং। প্রথম কোয়ালিফায়ারে থাকতে পারলে ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পেতো তারা। তবে এখন তাদের ফাইনালে যাওয়াটা তুলনামূলক কঠিন। এলিমিনেটরে তো জিততেই হবে সেই সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও জিততে হবে। শেখ মেহেদী জানান, তাদের জন্য ম্যাচগুলো এখন নক আউট এবং ডু অর ডাই।
বসুন্ধরাতে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শেখ মেহেদী বলেন, ‘এখানে (সেরা দুইয়ে) থাকতে পারলে ভালো হতো। এখন তো আমাদের চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। টপ টুতে থাকলে সুযোগ দুইটা থাকে। এখন পুরো নক আউটে চলে এসেছি। এটা আসলে ডু অর ডাই। দেখা যাক আগামীকাল কী হয়।’
নিজেদের শেষ চার ম্যাচে জিততে না পারলেও ক্রিকেটাররা ফুরফুরে মেজাজে আছেন বলে জানান মেহেদী। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস তো সব সময় আছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই বিশ্বাস নিয়ে যায় মাঠে। কিন্তু সব সময় দিন এক রকম যায় না। আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি, কিন্তু এখনো আমাদের একটা সুযোগ আছে। সুযোগটা আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। আমার মনে হয়, দলে যারা আছে, সবাই ফুরফুরে মেজাজে আছে। কারণ, এ সময় দল হিসেবে যদি ভেঙে পড়ি, আমরা চারটা হেরেছি, তাহলে এখান থেকে বের হতে পারব না।’
প্লে অফে কে কার মুখোমুখি হচ্ছে?
১২ ঘন্টা আগেবিপিএলের সবশেষ দুই আসরে ফাইনালে উঠতে পারেনি রংপুর। ২০২৩ সালে এলিমিনেটরে বরিশালের বিপক্ষে জিতলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল তারা। গত মৌসুমেও সেই কুমিল্লার কাছে হেরেই ফাইনালে যাওয়া হয়নি তাদের। তবে চলমান আসরে সেই ধারা ভেঙ্গে ফাইনালে যেতে চায় রংপুর।
মেহেদী বলেন, ‘শেষ দুই বছর আমরা ৩ নম্বর হয়েছি, ফাইনালে উঠতে পারিনি। এ বছর আরও একটা সুযোগ আছে। গত দুই বছরের এটা (বাদ পড়া) ভাঙতে চাই এবার। আমরা ফাইনালে যেতে চাই। ফাইনালে যেতে হলে আগামীকালের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্থানীয় যে সাতজন আছে, তাদের পারফরম্যান্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’