অঙ্কনের রান আউটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছে, দাবি খুলনার ব্যাটিং কোচের
ছবি: গণমাধ্যমে কথা বলছেন নাসিরউদ্দিন ফারুক, ক্রিকফ্রেঞ্জি
জাহানদাদ খানের শর্ট বল পুল করে দুই রানের ছোটেন অঙ্কন। ডিপ মিড উইকেট থেকে ডান দিকে অনেকটা দৌড়ে এক হাতে বল ধরে দৌড় না থামিয়েই করা থ্রো করে দেন রিশাদ হোসেন। তার মাপা থ্রো ঠিক স্টাম্পের ওপর আসলে সেটি ধরে স্টাম্প ভাঙেন মুশফিকুর রহিম। অঙ্কন তখন উইকেটের কাছাকাছিও নেই।
ইয়াসির, শামীম, অঙ্কনদের ‘ঝড়’ নিয়ে বিপিএল শেষে আলাপ করতে চান সোহান
৩১ ডিসেম্বর ২৪তাকে ফিরে যেতে হয় দুই রানে। এরপর ১৩ বলে ৩৬ রান দরকার ছিল। সেই ১৩ বলে ২৮ রান নেয়ায় আর ম্যাচই জিততে পারেনি খুলনা। ম্যাচ শেষে তাই অঙ্কনের রান আউটকে 'চড়া মূল্য' বলছেন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় অঙ্কন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তার রান আউটটা একটু দামী হয়ে গেছে আমার মনে হয়। একটা নতুন প্লেয়ার এসে এমন একটু ট্রিকি উইকেটে এসে মারাটা ইজি না। অঙ্কন যেহেতু রানে ছিল হয়ত সে এডজাস্ট করতে পারত। স্পিন-পেস ভালো খেলতেসে। রান আউটটা একটু বেশি দামী হয়ে গেছে।’
এ দিন মাঝের ওভারগুলোতে খুলনার ব্যাটিং ছিল খুবই ধীরগতির। যার কারণে শেষ দিকে গিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরও ম্যাচ জিততে পারেনি খুলনা। ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন খুলনার ওপেনার নাঈম শেখ। যদিও মাঝের ওভারগুলো প্রচুর ডট বল খেলেন তিনি। তার সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজও প্রচুর ডট বল খেলেন।
এসব নিয়ে ফারুক আরও বলেন, ‘প্ল্যান আসলে শুরু থেকেই যারা গিয়েছে তারাই আমাদের ফিডব্যাক দিয়েছে যে উইকেটটা একটু স্লো। যত ডিপে নেওয়া যায়, শেষ ওভারে যদি সুযোগ নেওয়া যায়। মাঝে হয়ত সিঙ্গেল রোটেট করলে হয়তো আমাদের আরেকটু ক্লোজ হয়ে যেতে পারত। তবে এখানে ভুল করেছি।’
‘আমাদের লেফটি রাইটি কম্বিনেশন ছিল। অ্যালেক্স রসের অই টাইমে বাঁহাতি কেউ বল করেনি। (মোহাম্মদ) নবিকে চান্স নিয়েছে রস। উইকেটটা একটু স্লো ছিল ব্যাটে আসতে টাইম লেগেছে। নাঈমও চান্স নিয়েছে হয়নি। শেষের দিকে হয়েছে, তবে পার্ট অব গেইম, চেষ্টা করেছে।’