জোরাজুরি করে ‘বিপদ’ বাড়াতে চান না সৌম্য
ছবি: চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে অনুশীলনে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, রংপুর রাইডার্স
১৮ ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্লিপে ফিল্ডি করছিলেন সৌম্য। রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ লুফে নিতে পারা সৌম্য মাঠ ছেড়েছিলেন আঙুলে ব্যথা নিয়ে। পরবর্তীতে বাঁহাতি ব্যাটারের আঙুলে পাঁচটি সেলাই দেয়া হয়। কিছুদিন আগে সেই সেলাই কেটে ফেলা হয়েছে। মাঠে ফেরার জন্য বর্তমানে পুনর্বাসনে আছেন তিনি।
বিপিএলে চট্টগ্রামেই ফিরছেন সৌম্য
১৫ জানুয়ারি ২৫গুঞ্জন ছিল পুরো বিপিএলেই খেলা হবে না তাঁর। তবে বিপিএল দিয়ে বাইশ গজে ফিরতে রংপুরের জার্সিতে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন সৌম্য। দু-তিনদিন নেটে অনুশীলনও করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। টি-স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নিশ্চিত করেছেন, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে তাঁর। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে অনুশীলনে ফিরতে পেরে খুশি ৩১ বছর বয়সী ওপেনার।
এ প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে মাঠে আসতে পেরেছি। মাঠে এসে অনুশীলন করেছি, এটা খুবই ভালো। আজকে দ্বিতীয়-তৃতীয় দিন ব্যাটিং করলাম। আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। যেহেতু আমরা ক্রিকেটার, সবসময়ই ভালো লাগে মাঠে আসতে, কাজ করতে।’
বিপিএল শেষ করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দুবাই ও পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। চোটে পড়ার আগে দারুণ ছন্দে থাকা সৌম্যও আছেন বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। গুঞ্জন ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বাংলাদেশ। যদিও মাঠে ফিরতে নিজের কাজটা সারছেন সৌম্য। কদিন আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রংপুর নিশ্চিত করেছে সৌম্য ফিরতে যাচ্ছেন।
টানা ৮ জয়ে সবার আগে প্লে-অফে রংপুর
১৮ ঘন্টা আগেযদিও কবে নাগাদ ম্যাচ খেলবেন সেটার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি কেউই। রংপুরের হয়ে ব্যাটিং অনুশীলনে ফিরলেও এখন পর্যন্ত ফিল্ডিং কিংবা অন্যান্য কাজ করতে পারেননি সৌম্য। ধারণা করা হচ্ছিল, ২৩ জানুয়ারি দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হয়ত ফিরবেন তিনি। যদিও সেটার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাড়াহুড়ো করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে সৌম্যর জন্য। বাঁহাতি ব্যাটার নিজেও বুঝতে পারছেন সেটা।
সৌম্য বলেন, ‘চেষ্টা করছি (দ্রুত মাঠে ফিরতে)। তবে এখানে জোরাজুরি করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্যাটিং করছি এখন কিন্তু ফিল্ডিংয়ের কোনো কিছু এখনও ওইভাবে করা হয়নি। আস্তে আস্তে যেতে হবে, যেগুলো প্রক্রিয়া আছে, সেসবের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ফিজিও, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। উনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি (ব্যাটিং) শেষ করে আমার ফিডব্যাক ফিজিওকে বলেছি। উনি আবার বাড়তি কিছু কাজ দিয়েছেন। এরকমভাবেই চলছে, চেষ্টা যত দ্রুত সম্ভব ফিরতে।’
‘পুরোপুরি না সারলে বরং বেশি ঝুঁকি। যদি তাড়াহুড়ো করে নেমে যাই এবং আবার সেখানে লাগে, তাহলে এক মাসের জায়গায় দুই মাস লেগে যেতে পারে (ফিরতে)। আমি, চিকিৎসক, রংপুর রাইডার্স, সব পক্ষ মিলে কথা বলেই ঠিক করতে হবে।’