ব্যাটিং বিপর্যয়ে ওয়াটসনরা

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ঢাকা প্লাটুনঃ ১৪৫/৯ (২০ ওভার) (তামিম ৪০*, আরিফুল ১৩, শাদাব ২২*; তাসকিন ৩/৩২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, নবি ২/২১)
রংপুর রেঞ্জার্সঃ ৩২/৩ (৫ ওভার) (ফজলে ৩*, গ্রেগরি ৫*; মেহেদি ২/১২, ফাহিম ১/১৩)
ডেলপোর্টের বিদায়ঃ ইনিংসের চার নম্বর ওভারে বোলিংয়ে এসে মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে ক্যামেরন ডেলপোর্টকে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান ঢাকার পাকিস্তানি বোলার ফাহিম আশরাফ। ১২ বলে ২০ রান করে আউট হন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ডেলপোর্ট।

শুরুতেই মেহেদির আঘাতঃ ঢাকার দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় রংপুর রেঞ্জার্স। ঢাকার ডানহাতি অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
ঠিক পরের বলেই অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মেহেদি। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিতে হয় ওয়াটসনকে। দলীয় ৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর।
এর আগে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে ঢাকা প্লাটুন। মূলত তাসকিন আহমেদ- মুস্তাফিজুর রহমানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঢাকার সংগ্রহটা নাগালে রাখতে সক্ষম হয় রংপুর।
এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন এনামুল হক বিজয় এবং তামিম ইকবাল। ৩ ওভারে এই দুজনের ২৬ রানের জুটি ভাঙেন রংপুরের পেসার লুইস গ্রেগরি। তাঁর বলে জহুরুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১১ রান করা বিজয়।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান। তিনি মোহাম্মদ নবির শিকার হয়েছেন মাত্র ২ রান করে। বিজয় এবং মেহেদীর বিদায়ের পর তামিমকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন আরিফুল হকও। তিনি ১৩ করে ফেরেন তাসকিন আহমেদের বলে গ্রেগরিকে ক্যাচ দিয়ে।
মুমিনুল ৭ রান করে বোল্ড হয়েছেন মোহাম্মদ নবির বলে। তাসকিন ১৪তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিরিয়েছেন তামিম এবং আসিফ আলীকে।তাসকিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেন ওয়াটসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৩৮ বলে ৪০ রান করা তামিম।
এরপর ৯ রান করা আসিফ বোল্ড হয়েছেন। থিসারা পেরেরা মাত্র ১০ রান করে ফিরলে শেষের দিকে আর রান বাড়াতে পারেনি ঢাকা। শাদাব খান শেষ দিকে রান বাড়ালেও ফাহিম আশরাফ ৫ এবং মাশরাফি ৬ রান করে আউট হয়েছেন। দুজনকেই নিজের শিকার বানিয়েছেন মুস্তাফিজুর। শাদাব শেষ পর্যন্ত ২৭ এবং হাসান মাহমুদ ৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।