সাফল্যের কারণ সঠিক পরিকল্পনা

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
টি-টুয়েন্টিতে বড় ইনিংস খেলা খুবই কঠিন, ক্রমাগত বড় শটের চাহিদা পূর্ণ করতে হলে ঝুঁকি নিয়েই হয়। সেই সাথে যোগ হয় আউট হওয়ার সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে ২০ ওভার ব্যাট করে ১৪১ রানের ইনিংস খেলা অনেকটা স্বপ্নের মতন।
সব কিছু পক্ষে গেলেও এমন ইনিংস বলে কয়ে খেলা কঠিন হয়ে যায়। হাউজফুল দর্শকের সামনে প্রত্যাশার চাপে ঠাসা বিপিএল ফাইনাল হলে সেই ইনিংসের গুরুত্বে কয়েকমাত্রা যোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

তবে সব সমীকরণ জয় করা তামিম ইকবাল বিপিএল ফাইনালে শক্তিশালী ঢাকার বিপক্ষে খেলেছেন ৬১ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস, যার সুবাদে ১৭ রানের জয়ে শিরোপা জিতেছে তামিমের কুমিল্লা।
ফাইনাল ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন,
'সত্যি কথা আমি কখনই চিন্তা করি নি আমি এমন ইনিংস খেলব। তবে ব্যাটিং নিয়ে একটাই কথা বলত চাই যে, আমি ইনিংসটা নিয়ে ভালো পরিকল্পনা করেছি। আমি বার বার একটা জিনিসই বলছিলাম, যেই আমার সাথে ব্যাট করছিল, সাকিব ও নারিনকে যেন উইকেট না দেই।
'আমি পুরো ইনিংসে একটা ছয় ছাড়া নারিনকে মনে হয় না কোন ঝুঁকি নিয়েছি। এই দুইজন বোলার ওদের জন্য খুবই ভাইটাল। ওদের সাফল্যে এই দুইজনের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল।আমি পেসারদের আসার অপেক্ষা করছিলাম। এটা অবিশ্বাস্য রকমের ভালো উইকেট। সত্যি কথা একসময় ২০০ রানও কম মনে হচ্ছিল। সত্যি কথা বলতে ওদের দুই তিনটা উইকেট এক সাথে না পড়লে এই ২০০ রানও আসলেই কম পড়ত।'
বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে প্রায় দেড়শ রানের ইনিংসটি ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে কোনো বাংলাদেশির খেলা সেরা ইনিংস গুলোর একটি বলা চলে। ইনিংসের শুরুতে দেখে খেলা তামিম প্রথম ২০ বলে করেছেন ২৪ রান। তাঁর ইনিংসের ৩১ বলের সময় ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। সেখান থেকে সেঞ্চুরি হাঁকাতে মাত্র ১৯ বল ব্যবহার করেছেন তামিম।