টি-টুয়েন্টি শেখা হচ্ছে না মিরপুরেঃ মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
মিরপুরের মন্থর উইকেটে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সত্যিকারের টি-টুয়েন্টি স্কিল ঝালাই হচ্ছে না। উইকেটের মন্থর চরিত্রে অবগত বোলাররা মাপা লাইন লেন্থে বল করেই সফল হচ্ছে। উইকেটে সাহায্য থাকায় জায়গা মেপে বল করেই ব্যাটসম্যানদের আউট করতে পারছে বোলাররা। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের সত্যিকার বোলিং শেখা হচ্ছে না বাংলাদেশি বোলারদের।
ব্যাটসম্যানরাও টি-টুয়েন্টির সহজাত ব্যাটিং করতে পারছে না। যার কারণে দেশের বাইরে ব্যাটিং স্বর্গে গিয়ে বড় রান তাড়া করা কিংবা বড় রান করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে না। রংপুরের কাপ্তান মাশরাফির ভাষায়,

'ব্যাটসম্যানদের জন্য আসলেই কঠিন, এটা নিশ্চিত। বোলারদের উন্নতি হয় না। যদি একটা বোলার ৪/৫ উইকেট পেয়ে যদি বলে ভালো করছি...দিন শেষে কেমন চাপে বল করে সেটাতো দেখার বিষয়। চাপের মধ্যে বোলারদের খেলতে হবে। বোলারদের উন্নতি হবে চট্টগ্রামে, আপনি কি করছেন, তখন পরিস্কার ছবিটা আসতে থাকবে। এই মুহূর্তে ইয়র্কার দরকার, এই মুহূর্তে স্লোয়ার দরকার এই উইকেটে যেটা গ্রিপ হয়…। ইয়র্কারে হয়তো উইকেটের ব্যাপার থাকে না, স্লোয়ারে গ্রিপের ব্যাপার আছে।
'এখান থেকে শেখার ব্যাপারটা থাকে। কিন্তু এই উইকেট শেখা লাগছে না। একটা জায়গাতেই বল করলে সফল হওয়া যাচ্ছে। আবার ব্যাটসম্যানরা মাথা খাটিয়ে শটতো দূরে থাক সাধারণ শট খেলাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রে উইকেট অনেক কিছু মেটার করে। সিলেট ও চট্টগ্রামে যে উেইকেটে ব্যাটি-বোলিং করেছি এই ধরনের উইকেটে শেখার অনেক সুযোগ থাকে।'
তবে মিরপুরের উইকেটের জন্য চিফ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে দোষ দিতে চান না মাশরাফি। ভূতুড়ে চরিত্রের এই উইকেটের পেছনের গল্প অজানা মাশরাফির কাছেও।
'কিন্তু মিরপুরের উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কিউরেটরের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের এই উইকেট সব সময়েই আনপ্রেডিকটেবল ছিল। হয়তো বা কিছু আছে উইকেটে, সবার কাছেই আনপ্রেডিকটেবল। গামিনি অনেক চেষ্টা করে, আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি। উইকেটে ১০-১৫ ওভার পরই আচরণ পরিবর্তন হয়। হুট করে বল লো হয়। ভেরি আনপ্রেডিকটেবল, কমেন্ট করা কঠিন আসলে।'