কণ্টকপূর্ণ দ্বিতীয় অধ্যায়

ছবি: ছবি - ক্রিকফ্রেঞ্জি

আজ (১৩ই আগস্ট) থেকে সকল প্রকার ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে মোহাম্মদ আশরাফুলের। আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জাতীয় দলের হয়ে খেলতেও আর বাঁধা থাকবে না তার।
তবে বাঁধা না থাকলেও অনেক বেশি সীমাবদ্ধতা আছে আশরাফুলের চারপাশে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তো ইতিমধ্যেই তাকে দেখিয়ে দিয়েছেন বাস্তবতা।
আশরাফুল নিজেও মানছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো ফলাফল করে তবেই জাতীয় দলে ফিরতে পারেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ফর্মে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছেন আশরাফুল।
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) গত আসরে ব্যাট হাতে পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলা আশরাফুল। এই ফর্মের ধারাবাহিকতা আগামী আসরেও ধরে রাখতে ইচ্ছুক দেশের সর্বকনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।

এছাড়া পুরোপুরি ফিট হয়ে আবারো ফিরতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আশরাফুল। জাতীয় ক্রিকেট লীগের আসরকে সামনে রেখে একটি ট্রেনিং ক্যাম্পেও অংশ নিয়েছেন তিনি।
এই মুহূর্তে আশরাফুলের সামনে সবচেয়ে বড় বাঁধা তার বয়স। ৩৪ বছর চলছে আশরাফুলের। ফিটনেস ঠিক রেখে জাতীয় দলে যদি তিনি জায়গা করেও নিতে পারেন, তবে তাতেও আরও এক বছর লাগবে তার।
তখন তার বয়স হবে ৩৫। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বয়সে এসে ক্রিকেট নতুন করে শুরু করাটা দৃষ্টান্ত স্থাপনের মত হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমনটা হরহামেশাই ঘটেছে।
কোলপাক চুক্তি থেকে হরহামেশাই ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে ক্রিকেটারদের। এমনকি ফিক্সিংয়ে শাস্তি ভোগ করেও ফিরে আসতে দেখা গেছে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরকে। এসব বিবেচনায় আশরাফুলও ফিরে আসতে পারেন 'আশার ফুল' হয়ে।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) আসরে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে সবধরনের ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়।