শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে সাকিবরা

ছবি:

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) দ্বিতীয় প্লে অফে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৩ রানে হারিয়ে আইপিএলের এগারোতম আসরের ফাইনালে উঠে গেলো সাকিব-উইলিয়ামসনের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
২৭ই মে অনুষ্ঠিতব্য এই ফাইনালে সানরাইজার্সের প্রতিপক্ষ মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ইডেনে টসে হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত বিশ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুনীল নারিন ও ক্রিস লিনের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় কলকাতা। এই দুজনে ওপেনিং জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন। ব্যক্তিগত ২৬ রানে কলকাতার ওপেনার সুনীল নারিন (১৩ বলে ২৬ রান) হায়দ্রাবাদের পেসার কউলের বলে ব্র্যাথওয়েটকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
সাকিব আল হাসানের করা দলীয় নবম ওভারে নিতিশ রানা ২২ রান করে রান আউট হয়ে আউট হয়েছেন। সাকিব তার প্রথম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৭ রান। রবিন উথাপ্পাকে (২) বোল্ড করে ফিরিয়েছেন রশিদ খান।
দলীয় ১২ নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন সাকিব। সেই ওভারেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। রান আটকে রাখার পাশাপাশি ফিরিয়েছেন কলকাতা দলপতি দীনেশ কার্তিককে। কার্তিক মাত্র ৮ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হয়েছেন। মাত্র ৩ রান দিয়ে সেই ওভার শেষ করেন তিনি।
সাকিবের ওভারের পরের ওভারেই ক্রিস লিনকে (৩১ বলে ৪৮ রান) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন রশিদ খান। শেষপর্যন্ত অবশ্য লড়াই চালিয়ে যান শুবম্যান গিল।
২০ বলে ৩০ রান করে ম্যাচ জমিয়ে শেষ ওভারে আউট হন তিনি। কিন্তু ক্রমশ রানরেট বেড়ে যাওয়ায় আর সমান তালে উইকেট পরায় নয় উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানেই থামতে হয় দুইবার আইপিএল শিরোপা জয়ী শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।

হায়দ্রাবাদের হয়ে রশিদ খান ১৯ রানের বিনিময়ে তিনটি ও সিদ্ধার্ত কউল ৩২ রান খরচায় দুটি উইকেট পান। সাকিব তিন ওভারে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। শেষ ওভারে দুটি উইকেট নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
এর আগে এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার দলপতি দীনেশ কার্তিক। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় হায়দ্রাবাদ।
এই দুজনে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৫৬ রান। তারপর ৩৪ রান করা ধাওয়ান কুলদীপ যাদভের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি।
তিনি মাত্র ৩ রান করে যাদভের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন। উইলিয়ামসন ফেরার পর সাহার সাথে যোগ দেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বেশিক্ষণ সাকিবকে সঙ্গ দিতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
তিনি ৩৫ রান করে চাউলার বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ব্যক্তিগত ২৮ রানে রান আউট হয়ে ফিরেন সাকিব। এই অলরাউন্ডারের ফিরে যাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দ্রাবাদ।
তবে দুই লোয়ার মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান রশিদ খান ও ভুবনেশ্বর কুমারের দৃঢ়তায় নির্ধারিত বিশ ওভারে হায়দ্রাবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান।
রশিদ শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন, ভুবনেশ্বর মাঠ ছাড়েন ২ বলে ৫ রান নিয়ে। কলকাতার হয়ে কুলদীপ যাদভ ২টি ও ১টি করে উইকেট দখল করেন সুনীল নারিন, পীযুষ চাওলা ও শিভম মভি। হায়দ্রাবাদের দুই ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশঃ
শিখর ধাওয়ান, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, ইউসুফ পাঠান, দীপক হুদা, রিদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান, সিদ্ধার্থ কউল, খলিল আহমেদ।
কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশঃ
সুনীল নারাইন, ক্রিস লিন, রবিন উথাপ্পা, নিতীশ রানা, দিনেশ কার্তিক (অধিনায়ক), শুভম্যান গিল, আন্দ্রে রাসেল, পিযুশ চাউলা, কুলদীপ যাদব, প্রসিধ কৃষ্ণ, শিবম মভি।