টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের সমস্যা তুলে ধরলেন সাকিবদের কোচ

ছবি:

২০১১ সালে সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান স্পিন কিংবদন্তী মুত্তিয়া মুরলিধরন। তবে অবসরের আগে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণ করেছিলেন তিনি।
টেস্টে ৮০০ এবং ওয়ানডেতে ৫০০ ঊর্ধ্ব উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন মুরলি। কিন্তু মুদ্রার ঠিক উল্টো পিঠ যেন টি টোয়েন্টিতে। এই ফরম্যাটে ১৬৪টি ম্যাচে তাঁর শিকার মাত্র ১৭৯টি উইকেট।
মূলত টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানেরা সর্বদা আগ্রাসী ভূমিকায় থাকার কারণেই বোলাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। আর এমনটা হয়েছে কিংবদন্তী মুরলির ক্ষেত্রেও। এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মুরলিধরন মনে করেন টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের আগমনে বোলারদের কপাল পুড়েছে অনেকটাই। এক অনুষ্ঠানে মুরলি বলেছেন,

'আমাদের সময়ে বোলিং করা আরও অনেক সহজ ছিল। কিন্তু এখন খেলাটা আরও প্রসারিত হয়েছে এবং বোলিং করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের সময়ে আমরা টি-টোয়েন্টি খেলিনি তেমন এবং টেস্টে ব্যাটসম্যানরা ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টাও করতো না। আর এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ছক্কার বাহার।'
নিজের ক্যারিয়ারের দুটি সেরা সাফল্য নিয়েও এই অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন লঙ্কান লিজেন্ড। দুই সেরা মুহূর্ত হিসেবে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয় এবং সানরাইজার্সের হয়ে ২০১৬ সালের শিরোপা জয়কে উল্লেখ করেছেন মুরলি। বলেছেন,
'সেরা মুহূর্ত বা সাফল্য বলতে গেলে শুরুতেই আসবে ১৯৯৬ সালের সেই বিশ্বকাপ জয়। আমাদের দেশের জন্যও সেই বিশ্বকাপ জয় ছিল বিশেষ কিছু। আর সানরাইজার্সের হয়ে বলতে গেলে ২০১৬ সালের শিরোপা জেতার ঘটনাটাই সেরা।'