মুশফিকদের উড়িয়ে দিয়ে মাশরাফিদের শিরোপা উৎসব

ছবি:

ডিপিএলের সুপার সিক্স পর্বের শেষ ম্যাচে আজ লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জকে হারাতে পারলেই শিরোপা নিজেদের করে নিতে সক্ষম হবে নাসির-মাশরাফিদের আবাহনী লিমিটেড। এই সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেই বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় মুশফিকদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো আবাহনী।
সেই লক্ষ্যে অবশ্য খুব সহজেই পৌঁছে গিয়েছে তারা। মুশফিকদের রুপগঞ্জকে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ১৯তম শিরোপা জিতে নিয়েছে নাসির বাহিনী। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে এদিন শুরুতে টসে জিতে নাসির বাহিনীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুপগঞ্জের অধিনায়ক নাইম ইসলাম।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত এবং অধিনায়ক নাসির হোসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৭৪ রানের পাহাড়সম রান দাঁড়া করায় আবাহনী। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়াও আনামুল হক বিজয় করেছেন ৫৭ রান। আর শেষের দিকে টাইগারদের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা খেলেছেন ৮ বলে অপরাজিত ২৮ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস। যেখানে ছিলো ৪টি ছক্কার মার। মাশরাফির সাথে শেষ পর্যন্ত ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।
শেষের দিকে মাশরাফির ঝড়ো ব্যাটিংয়েই মূলত মুশফিকদের সামনে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে আবাহনী। রুপগঞ্জের পক্ষে এদিন ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সবথেকে সফল বোলার ছিলেন পারভেজ রসুল। এছাড়াও মোহাম্মদ শহীদ ৮১ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট।
আবাহনী ৩৭৪ রানের পাহাড় দাঁড়া করান???র তখনই অবশ্য শিরোপা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো আবাহনীর। কেননা শিরোপা জিততে হলে রান রেটেও এগিয়ে থাকতে হতো মুশফিকদের রুপগঞ্জকে। তবে চেষ্টার কমতি করেনি অবশ্য তারা।

৩৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালোই ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক নাইম ইসলাম, উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম এবং ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ৭০ রান করে নাইম আউট হওয়ার পর মুশফিক খেলেছেন ৬৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস। তবে ১৯০ রানের মাথায় মুশফিক ফিরলে শেষ ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন নাইম।
দলকে ২৮০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। কিন্তু এরপরেও পারেননি দলকে জেতাতে। ৭৬ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। এরপর আর কেউই রান করতে পারেননি। ফলে রুপগঞ্জকে অলআউট হতে হয়েছে ২৮০ রানে।
আবাহনীর পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ, সানজামুল ইসলাম, সন্দ্বীপ রায় এবং নাসির হোসেন দারুণ বোলিং করেছেন। এই চার ব্যাটসম্যানই ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও ১টি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
আবাহনী লিমিটেড-
নাজমুল হাসান শান্ত, আনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিথুন (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন (অধিনায়ক), হানুমা বিহারি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সানজামুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাকলাইন সজীব, সন্দ্বীপ রায়।
লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ-
আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ নাইম, অভিষেক মিত্র, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাইম ইসলাম (অধিনায়ক),পারভেজ রসুল, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল হোসেন মিলন, আসিফ হাসান, মোহাম্মদ শহীদ, আশিকুজ্জামান।