ফিরছেন নাফিস, বিজয়রা?

ছবি:

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত পারফর্মারদের বুঝি শেষ পর্যন্ত ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে ডাক পেতে পারেন আনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন কিংবা শাহরিয়ার নাফিসদের মতো সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়া ক্রিকেটাররা।
এই তথ্য অবশ্য গুজব নয়, স্বয়ং জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন এই খবর। দেশীয় টিভি চ্যানেল একাত্তর টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে সিরিজে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফর্মারদের সুযোগ দেয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'জুনের ২০ তারিখে খেলা আছে শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের সাথে। তিনটি চার দিনের ম্যাচ এবং তিনটি ওয়ানডে আছে। বলা যায় ব্যস্ত একটি সূচি আছে সামনে। আমি মনে করি যে প্রিমিয়ার লীগে আমরা কিছু ভালো পারফর্মার পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা সম্ভাব্য ভালো দুটি দলই দাঁড়া করাতে পারবো।'

অবশ্য শুধু 'এ' দল নয়, এইচপি দল গঠনের ক্ষেত্রেও বিবেচনায় আনা হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্মেন্স বলে নিশ্চিত করেছেন নান্নু। দল গঠন নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য,
'এইচপিতে আমরা সবসময় মাথায় রাখি যে যারা জাতীয় দলের থেকে একটু অফ ফর্মে থাকে তাদেরকে এখানে নিয়ে আসা আর দ্রুত রিপ্লেসমেন্ট এবং এক বছর বা দুই বছরের মধ্যে জাতীয় দলে দেখতে চায় এমন পারফর্মারকে আমরা সবসময় সুযোগ দিয়ে থাকি। ঐ চিন্তাধারা থেকেই আমরা এইচপি দল তৈরি করবো।'
শেষ পর্যন্ত নান্নুর কথাই যদি ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে কপাল খুলতে পারে শাহরিয়ার নাফিস, নাইম ইসলামদের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদেরও। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন নাফিস, নাইম এবং বিজয়রা।
এবারের ডিপিএলে ১৪ ম্যাচে ৫০.৭৬ গড়ে ৬৬০ রান সংগ্রহ করেছেন বিজয়। ২টি সেঞ্চুরি সহ এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। সুতরাং তাঁর জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলার সম্ভাবনা যে এখনও রয়েছে তা নান্নুর কথাতেই পরিষ্কার।
অপরদিকে ১২ ম্যাচে ৪৩.৮৩ গড়ে এবারের ডিপিএলে শাহরিয়ার নাফিস সংগ্রহ ৫২৬ রান। আর নাইম ইসলামের সংগ্রহ ১৪ ম্যাচে ৫৩.৬৬ গড়ে ৬৪৪ রান। সুতরাং এরূপ পারফর্মেন্সের পর নির্বাচকদের সুনজরে যে তারা পরবেন তা বলাই বাহুল্য।