সর্বোচ্চ উচ্চতায় মাশরাফি

ছবি:

গত বেশ কিছুদিন থেকে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে জোর আলোচনা চলে আসছিলো। অবসর কাটিয়ে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি সেই গুঞ্জনও ভেসে বেড়াচ্ছিলো আকাশে বাতাসে। কিন্তু সেই গুঞ্জন নিজেই উড়িয়ে দিয়ে মাশরাফি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টি টোয়েন্টি আর নয়।
মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাশরাফি। কিন্তু টাইগার কাপ্তান হয়তো ভুলেই গিয়েছেন তাঁর জুড়ি এখনো তৈরি হয়নি এদেশে। এই ৩৪ বছর বয়সে এসেও বল হাতে সমানভাবে অবদান রাখেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
যার সর্বশেষ প্রমাণ চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) আসর। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ৭টি ম্যাচ খেলে ১৯ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি। অবস্থান করছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষে।
এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভূমিকা রেখেছিলেন মাশরাফি। কখনও বল হাতে আবার কখনও ব্যাট হাতেও সমানভাবে অবদান রেখেছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। সবমিলিয়ে বলা যায় যে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দিলেন মাশরাফি তাদের থেকেও অনেকাংশে উজ্জ্বল তিনি।
হোক সেটি ভিন্ন ফরম্যাট, তবুও মাশরাফির মতো ক্ষিপ্রতা, ক্রিকেটীয় জ্ঞান কিংবা অদূরদর্শিতা এখন পর্যন্ত আর কারোর মধ্যেই তৈরি হয়নি। মাশরাফি একজনই, আর এমন একজন ক্রিকেটার দশ বছরেও একটি আসে না।

চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক এবারের ডিপিএলে এখন পর্যন্ত মাশরাফির পারফর্মেন্সের একটি সংক্ষিপ্ত হিসাব-
১। প্রথম ম্যাচ (খেলাঘরের বিপক্ষে)- খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন মাশরাফি। দলের ৯ উইকেটের জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
২। দ্বিতীয় ম্যাচ (কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে)- কলাবাগানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে আরো অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ম্যাশ। সেই ম্যাচে অলরাউন্ডার হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ব্যাট হাতে ৬৭ রানের ইনিংসটি খেলার পাশাপাশি বল হাতে ৪৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।
৩। তৃতীয় ম্যাচ (ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে)- ব্রাদার্সের বিপক্ষে এরপরের ম্যাচে উইকেট শুন্য থাকলেও দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করেণ ম্যাশ। ৫ ওভারে ১ মেইডেন সহ মাত্র ১২ রান খরচ করেন তিনি।
৪। চতুর্থ ম্যাচ (রুপগঞ্জের বিপক্ষে)- রুপগঞ্জের বিপক্ষে এই ম্যাচটিতেই শুধু খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মাশরাফি। ৯ ওভার বোলিং করে ৬৩ রানে উইকেট শুন্য ছিলেন তিনি।
৫। পঞ্চম ম্যাচ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে)- শেখ জামালের বিপক্ষে আবারো নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হন আবাহনীর মাশরাফি। ৮ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করে একাই ধ্বস নামান শেখ জামালের ব্যাটিং লাইন আপে।
৬। ষষ্ঠ ম্যাচ (মোহামেডানের বিপক্ষে)- হাইভোল্টেজ এই ম্যাচেও যথারীতি উজ্জ্বল ছিলেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে ২৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে তাঁর শিকার ছিলো ৩৭ রানে ৩ উইকেট।
৭। সপ্তম ম্যাচ (প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে)- সর্বশেষ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ম্যাশ। আর ব্যাট হাতে তাঁর অবদান ছিলো ২২ রান।