ব্যর্থ সৌম্য, ব্যর্থ অগ্রণী ব্যাংক

ছবি:

ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে আজ ডিপিএলের ৩০তম ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংককে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। আর এরই সাথে এবারের ডিপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিলো তারা।
এদিন শুরুতে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভারে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে অগ্রণী ব্যাংক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন জাহিদ জাভেদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাট থেকে।
২৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং অশোক মেনেরিয়ার জোড়া সেঞ্চুরিতে ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খেলাঘর। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়াও দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ১০ এবং রাফসান আল মাহমুদ ১৫ রান করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে অবশ্য বিপদেই পড়েছিলো খেলাঘর। মাত্র ২৭ রানের মাথায় ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন পেসার শফিউল ইসলাম। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে রাফসান আল মাহমুদকেও এলবিডব্লিউ??ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন এই পেসার।
শফিউলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টিকতে পারেননি অমিত মজুমদারও। দলীয় ৪০ রানের সময় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অমিতকে (০) উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষের হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন শফিউল।
তবে অগ্রণী ব্যাংকের সাফল্য বলতে এতটুকুই। এরপর অঙ্কন এবং মেনেরিয়ার ২২১ রানের জুটিতেই জয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে খেলাঘর। অঙ্কন ১১৫ এবং ভারতীয় রিক্রুট অশোক মেনেরিয়া ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

অগ্রণী ব্যাংক ইনিংস-
আজকের ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করেছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং আজমির আহমেদ। এই দুই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৫৯ রানের । তবে এরপরেই প্রাইম ব্যাংক শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন খেলাঘরের স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অংকনের হাতে সৌম্যকে (২৪) ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। সৌম্য ফিরে গেলে স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান না যোগ করেই আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার আজমির। ২৫ রান করে মাসুম খানের বলে রাফসান আল মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
তবে এরপর শাহরিয়ার নাফিস এবং রাফাতুল্লাহ মোহমান্দের ৪৮ রানের জুটিতে কিছুটা বিপদ কাটিয়ে ওঠে অগ্রণী ব্যাংক। দলীয় ১০৭ রানের সময় রাফাতুল্লাহকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন রাফসান আল মাহমুদ।
আর রাফাতুল্লাহর বিদায়ের পর দ্রুত শাহরিয়ার নাফিস ও ধীমান ঘোষের উইকেট দুটিও হারিয়ে বসে আব্দুর রাজ্জাকের দল। ১২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া অগ্রণী ব্যাংক কিছুটা স্বস্তি পায় সালমান হোসেন এবং জাহিদ জাভেদের ব্যাটে। এই দুই ব্যাটসম্যান জুটি গড়েন ৩৪ রানের।
তবে দারুণ ব্যাটিং করে বড় স্কোরের আভাস দেয়া সালমানকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে আবারো ব্রেক থ্রু এনে দেন রাফসান আল মাহমুদ। এরপর দারুণ ব্যাটিং করে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন জাহিদ জাভেদ। তাঁর ৫৪ রানের ইনিংসটির পাশাপাশি ৩০ রান করেন অধিনায়ক রাজ্জাকও। মাত্র ১৭ বলে ১ ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্যে এই ক্যামিও ইনিংসটি খেলেন তিনি।
আর এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে অগ্রণী ব্যাংক। খেলাঘরের পক্ষে রবিউল ইসলাম রবি, মাসুম খান এবং রাফসান আল মাহমুদ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ এবং মোহাম্মদ সাদ্দাম।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব দল-
আজমির আহমেদ, সৌম্য সরকার, রাফাতুল্লাহ মোহমান্দ, শাহরিয়ার নাফিস, ধীমান ঘোষ, সালমান হোসেন, জাহিদ জাভেদ, আব্দুর রাজ্জাক (অধিনায়ক), শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, শাহবাজ চৌহান।
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি দল-
রবিউল ইসলাম রবি, রাফসান আল মাহমুদ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, অমিত মজুমদার, নাজিমুদ্দিন (অধিনায়ক), আল মেনেরিয়া, মইনুল ইসলাম, তানভির ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম, হাসান মাহমুদ, মাসুম খান।