সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে বিজয়

ছবি:

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আজ সকাল ৯ টায় মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী লিমিটেড এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এদিন শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আবাহনী অধিনায়ক নাসির হোসেন।
তবে নাসিরের সিদ্ধান্তকে শুরুতেই ভুল প্রমাণিত করেছেন আবাহনীর ব্যাটসম্যানেরা। কেননা ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ খেলা ওপেনার সাইফ হাসানকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রু এনে দেন আবু জায়েদ রাহি।
এরপর ২ রানের ব্যবধানে নাজমুল হাসান শান্তর ষ্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে আরেকবার ব্রেক থ্রু এনে দেন শেখ জামাল স্পিনার সোহাগ গাজি। টিকতে পারেননি অধিনায়ক নাসিরও। গত ম্যাচে ৩৪ রান করা নাসির এদিন আউট হয়েছেন মাত্র ১১ রান করে ইলিয়াস সানির বলে।
স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দল আবাহনী। সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে উঠিয়ে আনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন আনামুল হক বিজয় এবং মোহাম্মদ মিথুন।

এই দুই ব্যাটসম্যান ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে কিছুটা বিপদমুক্ত করেন। কিন্তু ৭৮ রানের মাথায় জালাল সাক্সেনার বলে আবু জায়েদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মিথুন (১৪)। তবে মিথুন ফিরে গেলেও অসাধারণ ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার বিজয়।
এরপর নিজের ইনিংস লম্বা করে সেঞ্চুরির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এখন পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিজয়ের স্কোর ৯৬ রান। আর তার সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ব্যাট করছেন ২৮ রান নিয়ে। আবাহনীর দলীয় স্কোর ৪ উইকেটে ১৬২ রান (৩৬ ওভার)।
আবাহনী লিমিটেড দল-
আনামুল হক বিজয়, সাইফ হাসান, নাজমুল হাসান শান্ত, নাসির হোসেন (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সানজামুল ইসলাম, সাকলাইন সজিব, হোসেন আলি।
শেখ জামাল দল-
জিয়াউর রহমান, সোহাগ গাজি, ইলিয়াস সানি, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), তানবির হায়দার, নাজমুল হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, সৈকত আলি, রবিউল হক, আল-ইমরান, জালাজ সাক্সেনা।