শামসুরের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের বড় জয়

ছবি:

টানা তিন ম্যাচে জয় পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ সকাল ৯ টায় বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নুরুল হাসান সোহানের দলটি এদিন শুরুতে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রানের বিশাল স্কোর তোলে।
আর ২৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই অধিনায়ক শামসুর রহমানের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। শামসুরের সেঞ্চুরি ছাড়াও এদিন দারুণ খেলেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সালমান বাট এবং জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান।
শামসুর সর্বোচ্চ ১২৩ রান করেন। অপরদিকে সালমান ৮১ এবং রকিবুল ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুতে বিপদেই পড়েছিলো মোহামেডান দলটি। দলীয় মাত্র ১০ রানের মাথায় ওপেনার জনি তালুকদারকে বোল্ড করে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন শেখ জামালের স্পিনার সোহাগ গাজি।
তবে শুন্য রান করে জনি আউট হয়ে গেলেও পরবর্তীতে সালমান বাট এবং অধিনায়ক শামসুর রহমানের ব্যাটে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে মোহামেডান। পাকিস্তানি রিক্রুট বাট দুর্দান্ত খেলে তুলে নেন তাঁর ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি।
শামসুর এবং বাট মিলে জুটি গড়েন ১১৯ রানের। ৮১ রান করে ইলিয়াস সানির বলে আউট হয়ে বাট ফিরে গেলেও দারুণ খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক শামসুর। পরবর্তীতে রকিবুল হাসানও পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। আর এই তিন ব্যাটসম্যানের মিলিত চেষ্টাতেই শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় মোহামেডান।
শেখ জামালের পক্ষে রবিউল হক ২টি উইকেট শিকার করেছেন। অপরদিকে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সোহাগ গাজি, তানবির হায়দার এবং ইলিয়াস সানি।

শেখ জামাল ধানমন্ডির ইনিংস-
আজকের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলেছিলেন শেখ জামালের ব্যাটসম্যানেরা। উপরের সারির বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই এদিন রানের দেখা পেয়েছেন। বলা যায় তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই মোহামেডানের সামনে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে শেখ জামাল।
অধিনায়ক নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস। মাত্র ৫৯ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস খেলেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ওপেনার সৈকত আলি (৫০) এবং তিন নম্বরে খেলতে নামা রাকিন আহমেদও (৬৪)। আরেক ওপেনার হাসানুজ্জামানও খুব একটা খারাপ খেলেননি এদিন। ৩৩ রান করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও ভারতীয় রিক্রুট দিকবিজয় রঙ্গি করেছেন ১৪ রান। তবে উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা রান পেলেও ব্যর্থ হয়েছেন নিচের দিকের ব্যাটসম্যানেরা। শেষের দিকে রবিউল হকের ১১ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৮৭ রানে শেষ হয় শেখ জামালের ইনিংস।
মোহামেডানের পক্ষে এদিন সফলতম বোলার ছিলেন জাতীয় দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে মাত্র ৪০ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। আর শুভাশিস রায় ৬৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়াও কাজি অনিক, ইবাদত হোসেন এবং এনামুল হক জুনিয়র নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব একাদশ-
সৈকত আলি, হাসানুজ্জামান, রাকিন আহমেদ, দিকবিজয় রঙ্গি, ইলিয়াস সানি,নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), তানবির হায়দার, সোহাগ গাজি, জিয়াউর রহমান, রবিউল হক, কাজি কামরুল ইসলাম।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব একাদশ-
জনি তালুকদার, সালমান বাট, শামসুর রহমান (অধিনায়ক), রকিবুল হাসান, ইরফান শুক্কুর, রনি তালুকদার, এনামুল হক, কাজি অনিক, তাইজুল ইসলাম, শুভাশিস রায়, ইবাদত হোসেন।