কাপালিই জেতালেন ব্রাদার্সকে

ছবি:

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) দশম ম্যাচে আজ মেহেদি মারুফের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ২৪ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে অলোক কাপালির ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্রাদার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক মারুফ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে অলোক কাপালি এবং ইয়াসির আলির জোড়া অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৪ রান সংগ্রহ করে ব্রাদার্স।
জবাবে অলোক কাপালি, সোহরাওয়ার্দি শুভ এবং খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। ফলে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় কাপালির ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
ব্রাদার্সের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামার পর মাত্র ২৫ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার কাম অধিনায়ক মেহেদি মারুফকে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান ইফতেখার সাজ্জাদ।
মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে আল-আমিনও আউট হয়ে গেলে বড় ধরণের বিপদে পড়ে মেহেদি মারুফের দলটি। পরবর্তীতে জাকির হাসান এবং ভারতীয় রিক্রুট কুনাল চান্দেলার ৫১ রানের জুটিতে সাময়িক বিপদ কাটিয়ে ওঠে প্রাইম ব্যাংক।
কিন্তু ৫০ রান করে অলোক কাপালির বলে জাকির হাসান আউট হয়ে গেলে এই জুটি ভাঙ্গে। জাকির ফিরে গেলে আবারো ছন্দপতন ঘটে প্রাইম ব্যাংকের। দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় আরো চান্দেলা সহ চার উইকেট খুইয়ে বসে তারা।

যদিও সেই পরিস্থিতি থেকে দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান নাহিদুল ইসলাম এবং দেলোয়ার হোসেনের ব্যাট থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় প্রাইম ব্যাংক। বিরুদ্ধ স্রোতের সামনে দাঁড়িয়ে নাহিদুল খেলেছেন ৮৮ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস। তাঁর ব্যাটেই একটা সময় মনে হচ্ছিলো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারবে প্রাইম ব্যাংক।
কিন্তু ২৬০ রানের মাথায় নাহিদুলকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রাইম ব্যাংকের জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেন খালেদ আহমেদ। এরপর আর মাত্র ১০ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে গেছে মেহেদি মারুফের দল।
প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং ধ্বসের মূলে ছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক অলোক কাপালি। ১০ ওভারে ৪৬ রানে একাই ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। আর এই তিন উইকেটের মধ্যে অর্ধশতক হাঁকানো জাকির এবং চান্দেলার উইকেটটিও ছিলো।
এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়নের পক্ষে ওপরের সারির প্রায় সব ব্যাটসম্যানই কম বেশি রান পেয়েছেন। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান এবং জুনায়েদ সিদ্দিকি ৩৬ ও ৪৫ রান করেন। এছাড়াও তিন নম্বরে নামা মাইশুকুর রহমান খেলেছেন ৩০ রানের ইনিংস।
তবে প্রাইম ব্যাংকের সামনে ২৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ার পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছেন অধিনায়ক অলোক কাপালি এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি।
এদিন কাপালি ব্যাট হাতে খেলেছেন ৬৭ বলে ৭৯ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস। যেখানে ছিলো ৫টি ছয় এবং সমান সংখ্যক চার। অপরদিকে ইয়াসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৩ বলে ৬৯ রানের আরেকটি অনবদ্য ইনিংস (২টি ছয় এবং ৪টি চার)।
প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন দেলোয়ার হোসেন এবং আরিফুল হক। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন এবং আল-আমিন।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন একাদশ-
মিজানুর রহমান, জুনায়েদ সিদ্দিকি, মাইশুকুর রহমান, সোহরাওয়ার্দি শুভ, খালেদ আহমেদ, অলোক কাপালি (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান রানা, ইফতেখার সাজ্জাদ, নিহাদুজ্জামান, ইয়াসির আলি, জন সিম্পসন।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব একাদশ-
মেহেদি মারুফ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, আল-আমিন, নাহিদুল ইসলাম, জাকির হাসান, মেহরাব হোসেন জুনিয়র, এনামুল হক জুনিয়র, মনির হোসেন, দেলওয়ার হোসেন, সাজ্জাদুল হক, কুনাল চান্দেলা।