'দুই' ফরহাদের সম্মিলিত পারফর্মেন্সে দোলেশ্বরের রুদ্ধশ্বাস জয়

ছবি:

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আসরে খেলাঘর কল্যাণ সমিতি দলটির হয়ে খেলছেন নাফিস ইকবাল, রবিউল ইসলাম রবি, নাজিমউদ্দিনদের মতো প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটাররা।
তবে তাদের তুলনায় বলা যায় অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলই গঠন করেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। দলটিতে রয়েছে আরাফাত সানি, ইমতিয়াজ হোসেন, ফরহাদ রেজার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
কিন্তু এরপরেও দোলেশ্বরকে রীতিমত কাঁপিয়ে দিয়েছে খেলাঘর। আজ ডিপিএলের অষ্টম ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১৯৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় নাফিস ইকবালের নেতৃত্বাধীন খেলাঘর।
২০০ রানের এই মামুলি লক্ষ্য পার করতেই ঘাম ছুটে গিয়েছে দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানদের। ১ উইকেটের জয় পেলেও একটা সময় মনে হচ্ছিলো যেন খেলাঘরই শেষ পর্যন্ত হাসবে জয়ের হাসি।
অবশ্য সেটি হতে দেননি সর্বশেষ ব্যাটসম্যান মানিক খান। জয়ের জন্য যখন মাত্র ১ বলে ১ রান প্রয়োজন এবং হাতে রয়েছে ১ উইকেট, সেসময় কোনরকমে ব্যাটে বল ছুঁয়ে এক রান নিয়ে ফেলেন মানিক। ফলে রুদ্ধশ্বাস এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় প্রাইম দোলেশ্বর।
এদিন শুরুতে টসে জিতে খেলাঘর কল্যাণ সমিতিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দোলেশ্বরের বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ২০০ রানের লক্ষ্য দাঁড়া করাতে সক্ষম হয় খেলাঘর।

খেলাঘরের পক্ষে নাজিমউদ্দিন পান অর্ধশতকের দেখা। তাঁর ৫১ রানের ইনিংসটি ছাড়াও ৪৫ রান করেছেন ভারতীয় রিক্রুট অশোক মানেরিয়া। এছাড়াও ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ৩৫ রান করেন এবং মইনুল ইসলাম অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে।
দোলেশ্বরের হয়ে ৩৭ রানে একাই ৪ উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আরাফাত সানি, আরাফাত সানি জুনিয়র এবং শরিফুল্লাহ।২০০ রানের মামুলি লক্ষ্যে এরপর খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ১০০ রানের কোটা পার হওয়ার পর পরই দোলেশ্বরকে চেপে ধরে খেলাঘরের বোলাররা।
তানভির ইসলাম, আল মেনেরিয়ার দারুণ বোলিংয়ে দেড়শ রানের মাথায় ৫ উইকেট খুইয়ে বসতে হয় ফরহাদ রেজার দোলেশ্বরকে। এরপর দলীয় ১৭৫ রানে ফরহাদ হোসেন (৪৫) ফিরে গেলে পরাজয়ের শঙ্কার মুখে পরে তারা। সেই অবস্থান থেকে ২৪ রান করে দলকে তুলে আনার চেষ্টা করেন শরিফুল্লাহ।
কিন্তু ১৯৩ রানের সময় তিনি আউট হয়ে গেলে দ্রুতই আরো ২ উইকেট খুইয়ে বসে দোলেশ্বর। এরপর যদিও শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। তবে খেলাঘর ঠিকই সমীহ আদায় করে নিয়েছে তাদের।
এদিন প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন তিন নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে। এছাড়াও শেষের দিকে ২৪ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন শরিফুল্লাহ। আর মার্শাল আইয়ুব ৩১ এবং ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ২৩ রান করেন।
আর খেলাঘরের পক্ষে ৪৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তানভির ইসলাম এবং ২টি উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় রিক্রুট আল মেনেরিয়া। এছাড়াও ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন হাসান মাহমুদ এবং রবিউল ইসলাম রবি।
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব একাদশ-
ইমতিয়াজ হোসেন, ফজলে মাহমুদ, ফরহাদ হোসেন, মার্শাল আইয়ুব, পুনিত বিশত, আরাফাত সানি জুনিয়র, শরিফুল্লাহ, ফরহাদ রেজা (অধিনায়ক), আরাফাত সানি, নাসুম আহমেদ, মানিক খান।
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি একাদশ-