সাকিবের গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞ রাহী

ছবি:

২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলেন সারোয়ার ইমরান। আর সে সময়েই মাত্র ১৫ বছর বয়সী বিকেএসপির ছাত্র সাকিব আল হাসান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এর আগেও সারোয়ার ইমরানের তত্ত্বাবধানে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেছিলেন সাকিব।
অর্থাৎ, ২০০৫ সালের পর থেকে প্রায় নিয়মিতই সাকিবকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন সারোয়ার ইমরান। আজকের সাকিবের উত্থানের পেছনে সারোয়ার ইমরানের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
সেই সারোয়ার ইমরানই বদলে দিয়েছেন এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর বোলিং। এজন্য রাহীও বেশ কৃতজ্ঞ সারোয়ার ইমরানের প্রতি। নিজের বোলিং নিয়ে জানাতে গিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মানবজমিনকে কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,

"এটি সত্যি যে আমার বলে তেমন কোনো গতি নেই। কিন্তু আমি বল আউট সুইং ও রিভার্স সুইং করাতে পারি। এটাই আমার বড় অস্ত্র। ২০১৪ সালে আমি যখন এইচপিতে ডাক পাই তখন কোচ ইমরান স্যারের সঙ্গে দেখা হয়। তখন স্যারকে বলেছিলাম বলের পেস বাড়ানোর কথা।
কিন্তু স্যার আমাকে বলেছেন গতির চেয়ে তোমার রিভার্স সুইংটাই আসল। এটাই ভালো করে চালিয়ে যাও। কারণ আমিও এমন বোলিং করতাম, গতি না থাকলেও চিন্তার কারণ নেই। ইমরান স্যারের সাহসেই আমি এত দূর আসতে পেরেছি।"
একইসাথে নিজের এই স্লো বোলিং দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে চান এই তরুণ বোলার। ভারতীয় পেসারদের দৃষ্টান্ত দিয়ে জানিয়েছেন নিজের ইচ্ছার কথা। আশাবাদী হচ্ছেন জাতীয় দলে ঢোকার ব্যাপারেও।
"আমি আশাবাদী, সামনে হয়তো জাতীয় দলে ডাক পাবো। সেই ভাবে খেলে যাচ্ছি আমি। আপনি দেখেন ভারত দলে অনেকের বলে কিন্তু খুব গতি নেই। তারপরও তারা কত দারুণ বল করছে। আমি সেভাবে খেলে যেতে চাই।"