ক্রিকেটারদের রুটিরুজি নিয়ে ছেলে খেলা?

ছবি:

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) আবারো ফিরে আসলো প্লেয়ার্স বাই চয়েস পদ্ধতি। আগামী মাসেই এই পদ্ধতিতে টুর্নামেন্টের জন্য ক্রিকেটার বাছাই করবে দলগুলো।
তবে প্লেয়ার্স বাই চয়েসের মাধ্যমে গতবারের মতো এবারও অনেক ক্রিকেটারের কপাল পুড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কারণ এই পদ্ধতির মাধ্যমে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেয় বিসিবি।
তবে ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সদস্য সচিব আলী হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতিতে খেলোয়াড় এবং ক্লাবগুলোর মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। যমুনা টিভিকে তিনি বলছিলেন,
'এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা দাবি করে যে গত বছর তারা হয়তো পাঁচ লাখ টাকায় খেলেছে, সে ত্রিশ কিংবা পঁয়ত্রিশ লাখ টাকার কমে খেলবে না। খেলোয়াড় এবং ক্লাবদের জন্য একটা যেন সমন্বয় থাকে এই জন্যই এই পদ্ধতি'

তবে এই পদ্ধতিতে দলবদলের সিদ্ধান্ত নেয়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে জাতীয় দলের বাইরে আর বিপিএলে সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটাররা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিতে পরতে পারেন এর মাধ্যমে। তাই তো ক্রিকেটারদের কথা বিবেচনা করে সেই হিসেবেই গ্রেডের মূল্য নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
এই প্রসঙ্গে তরুণ পেস তারকা আবু হায়দার রনি জানিয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের মূল আয়ের উৎস এই প্রিমিয়ার লীগ। সুতরাং প্লেয়ার্স বাই চয়েসের থেকে আগের নিয়মটিই শ্রেয় ছিলো বলে মনে করেন তিনি। রনি বলেন,
'যারা জাতীয় দলে খেলছে না তাঁদের কিন্তু এই প্রিমিয়ার লীগ দিয়েই আসলে রুটি রুজি চলে। আগে যে নিয়ম ছিলো সেটাতে আমরা ক্লাব অফিসিয়ালদের সাথে কথা বলে আমাদের পেমেন্টটা ওভাবে নিতে পারতাম।'
প্লেয়ার্স বাই চয়েজ নিয়ে সমস্যা এখানেই শেষ নয়। এই পদ্ধতিতে তুলনামূলক কম পারিশ্রমিকের সাথে আংশিক পারিশ্রমিক পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে অনেক ক্রিকেটারদের।
তাই তো দলগুলোর কাছে পেমেন্ট নিশ্চিত করার আগের দাবিটাই আবারো তুলে ধরেছেন গতবার ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলা ডলার মাহমুদ। ভিক্টোরিয়ার কাছ থেকে এখনও ৭ লাখ টাকার মতো পাওয়া রয়েছে তাঁর দাবি করে তিনি বললেন,
'ভিক্টোরিয়ায় একবার খেলেছিলাম। ওখানে আমি প্রায় সাত লাখ টাকার মতো পাইনি। আমাদের একটাই অনুরোধ ও আশা যে এবার প্লেয়ার্স বাই চয়েজ হলেও যেন আমাদের টাকাটা আমরা ঠিকভাবে পাই সেটি যেন বোর্ড নিশ্চিত করে।'