বোর্ডের সাফাই গাইছেন সুজন

ছবি:

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার দিন বৈঠক করেছিলেন প্রায় ৭০ জন ক্রিকেটার। ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য গড়া ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) ভুমিকাও ছিল এই বৈঠকের আলোচনার কেন্দ্রে।
কেননা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের আলোচিত ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ প্রথা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ক্রিকেটাররা। আর এতেই কোয়াবের ভূমিকা নিয়েও সন্দিহান তারা। এই প্রসঙ্গে বিসিবির বর্তমান পরিচালক ও কোয়াবেরই ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ সুজন জানান,
'প্লেয়ার বাই চয়েজের জন্য মনে হয় কথাগুলো বেশি হচ্ছে। এটা নিয়ে বোর্ড সিদ্ধান্তে গেছে একটি যুক্তিসঙ্গত কারণ। খেলাকে বাঁচিয়ে রেখেছে কিন্তু ক্লাবগুলাই। আমি মনে করি প্রতিটি বিষয়েরই একটি যুক্তি থাকে।

'যেমন গত বছর কোনো প্লেয়ার যদি ২৫ লাখ ২৮ লাখ টাকা পেয়ে থাকে সেই প্লেয়ারটার এ বছরে কতটুকু বাড়তে পারে? ১০ ভাগ, ১৫ ভাগ। আমি মনে করি হার্ডলি কোনো প্লেয়ার খুব ভালো খেলে ২০ ভাগ বাড়তে পারে। সেটা তো ১০০ ভাগ বা ১৫০ ভাগ বাড়তে পারে না। সেটাই হয়েছিল এবার।'
আর এক্ষেত্রে কোয়াবের ভূমিকা কি ছিল বা কোয়াব কি করেছে সেটা নিয়েও কথা বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরো জানান,
'অনেক প্লেয়ার যারা এখন ২৫-২৮ লাখ টাকা পাচ্ছে তারা ৬০-৬৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। সেক্ষেত্রে ক্লাবগুলা প্লেয়ার বাই চয়েজে যেতে বাধ্য হয়েছে। আর এখানে সিসিডিএমের ব্যাপার যেটা ক্লাবগুলো খেলে তাদের কথা তো বিসিবিকে, আমাদেরকে শুনতেই হবে। এখান থেকেই প্লেয়ার বাই চয়েজটা আসে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
'আমরা যেটা নিয়ে ফাইট করি, ঠিক আছে আপনারা যখন প্লেয়ার বাই চয়েজ করবেনই একটা জিনিস মেইনটেন করেন। গতবার একটা ছেলে যে টাকা পেয়েছে এবার যেন কম না পায়। যেন ১০-১৫% বাড়ে। তারপরও যদি ওরা (কোয়াবে) আসতে চায়, ওরা যদি মনে করে আমরা ওদের প্রতিপক্ষ, সাহায্য করছি না, এটা করলে ভুল হবে।'