লেগ আম্পায়ার নো বল দিয়েছিলেনঃ তামিম

ছবি:

১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। নিদাহাস ট্রফি থেকে আয়োজক শ্রীলংকাকে ছিটকে ফেলে দেওয়ার ম্যাচে ৪২ বল খেলে চারটি চার এবং দুটি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি।
তবে তামিম আউট হওয়ার পরে ম্যাচের শেষের দিকের নাটকীয় পরিস্থিতি হার মানিয়েছে অনেক কিছুকেই। নাটকের শুরু বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শেষ ওভারে। ওভারের শুরুতেই মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন উদানা।
এর পরের বলটি দিয়েছেন আগের বলের চেয়েও সামান্য ওপরে। আর তখন লেগ আম্পায়ার নো বলের সিগনাল দেন, কিন্তু আরেক আম্পায়ার সেটা দেন না। ঐ মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইকে আনতে গিয়ে রান আউট মুস্তাফিজ।
সেই আম্পায়ার ঐ সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত হস্তান্তর করেন। ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের ড্রিঙ্কস বয়রা তখন মাঠে ঢোকেন। লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে মেতে যান তারাও!

এদিকে মাহমুদউল্লাহ তখন নো বল ইস্যুতে আম্পায়ারের সাথে কথা বলেন। ওদিকে নিচে নেমে সাকিব মাঠের বাইর থেকে মাহমুদউল্লাহদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ততক্ষণে নো বল গ্রাহ্য না করে মুস্তাফিজকে আউটও দেওয়া হয়েছে!
এরপরে চতুর্থ আম্পায়ার এসে সাকিবকে বোঝান। ঐ সময়ে মাঠে জড়ো হন খালেদ মাহমুদ সুজন সহ পুরো ড্রেসিংরুমের লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। শেষবারের মতো মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আবারো ড্রেসিং রুমে যান সাকিব। কিন্তু স্ট্রাইকে তখনো ছিলেন মাহমুদুল্লাহ।
ঠাণ্ডা মাথায় দলকে ৪ বলে দরকার ১২ রান নিয়ে দলকে অসাধারণ এক জয় পাইয়ে দেন তিনি। আর ম্যাচ জয়ের পরে সাকিব আল হাসান জানান, প্রকৃত ঘটনা। আর সাকিবেরও আগে তামিম বিষয়টি পরিষ্কার করেন পুরস্কার বিতরণীতে।
সাকিবের সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে গিয়ে তামিম জানান, 'খুবই আবেগি একটা ম্যাচ ছিল। আমরা দেখলাম লেগ আম্পায়ার নো বলের সিগন্যাল দিচ্ছে। কিন্তু আরেক আম্পায়ার অন্য কাজে ব্যস্ত! অবশ্য ম্যাচটা আমাদের নাগালেই ছিল।'
তবে এই ম্যাচের আম্পায়ারিং ইস্যু ভুলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তামিম। 'আমরা আজকের ম্যাচ নিয়ে এরপরে আর কথা বলবো না। আমি শুরু থেকেই ধরে খেলার চেষ্টায় ছিলাম। কিন্তু শেষ করতে পারলাম না। যেহেতু আমরা জিতেছি, আমরা সব কিছুই ভুলে গিয়েছি।'