বিশ্বক্রিকেটকে হাস্যজ্বল হুংকার সাকিবের

ছবি:

শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে দলের পুরো চেহারাই বদলে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। কলম্বোর প্রেমাদাসায় নতুন এক সাকিবকে দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব।
আহামরি কোনো ব্যাটিং বা বোলিং পারফর্মেন্সে নয়। শুরুটা হয়েছিলো ১৬০ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে নামা বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শেষ ওভারে। ওভারের শুরুতেই মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন উদানা।
এর পরের বলটি দিয়েছেন আগের বলের চেয়েও সামান্য ওপরে। আর তখন লেগ আম্পায়ার নো বলের সিগনাল দেন, কিন্তু আরেক আম্পায়ার সেটা দেন না। ঐ মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইকে আনতে গিয়ে রান আউট মুস্তাফিজ।
সেই আম্পায়ার ঐ সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত হস্তান্তর করেন। ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের ড্রিঙ্কস বয়রা তখন মাঠে ঢোকেন। মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারের সাথে কথা বলেন। ওদিকে নিচে নেমে সাকিব মাঠের বাইর থেকে মাহমুদউল্লাহদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন।

ততক্ষণে নো বল গ্রাহ্য না করে মুস্তাফিজকে আউটও দেওয়া হয়েছে! এরপরে চতুর্থ আম্পায়ার এসে সাকিবকে বোঝান। ঐ সময়ে মাঠে জড়ো হন খালেদ মাহমুদ সুজন সহ পুরো ড্রেসিংরুমের লাল সবুজ প্রতিনিধিরা।
শেষবারের মতো মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আবারো ড্রেসিং রুমে যান সাকিব। কিন্তু স্ট্রাইকে তখনো ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে ৪ বলে দরকার ১২ রান নিয়ে দলকে অসাধারণ এক জয় পাইয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের পুরস্কার বিতরণীতে সব বিষয়েই কথা বলেন সাকিব। শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানান লঙ্কান দলের প্রতি। 'উত্তেজনা আর আবেগ-- এর বেশি কিছু টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট থেকে আপনি আশা করতে পারেন না। শ্রীলংকাকে কৃতিত্ব দিতে হয়। কেননা পাঁচ উইকেট যাওয়ার পরে ম্যাচটি তারা দারুণ ভাবে ঘুরিয়েছে।'
প্রায় দেড় মাস মাঠের বাইরে থাকা সাকিব কথা বলেন নিজের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স নিয়েও। 'আমি জানি শুধু ব্যাটিং হিসেব করলে আমি পুরোপুরি ফিট না। তবে মাঠে আজ সর্বোচ্চটাই দেয়ার চেষ্টা করেছি।'
এরপরেই উপস্থাপকের সামনে সাকিবের হাস্যজ্বল হুংকার। "কিছু সমস্যা হয়েছিল মাঠে। দলনেতা হিসেবে এসবে নজর দেওয়া আমার কর্তব্য। স্নায়ুর যুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত ছিলাম। আমি ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হবো।"
শেষে লঙ্কান দর্শকদের ফাইনালে মাঠে আসার আহ্বান জানান সাকিব। দিনশেষে তিনি আবারো মনে করিয়ে দেন ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা।
'শ্রীলংকার দর্শকদেরও ধন্যবাদ। আমি আশা করবো ফাইনালে তারা আমাদের খেলা দেখতে আসবে এবং আমাদের সমর্থন যোগাবে। যা হবে, সেটা মাঠে। খেলার মাঠের বাইরে আমরা বন্ধু। আসলে খেলার মাঠে আবেগ চলে আসে তো।'