নিষিদ্ধ আফিগানিস্তানের শাহজাদ

ছবি:

আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির এন্টি ডোপিং কোডের অনুচ্ছেদ ২.১ ভঙ্গের দায়ে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে ১২ মাসের (১ বছর) জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আইসিসি শাহজাদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী থেকে। এদিনই শাহজাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারপর পরীক্ষায় তার রক্তে নিষিদ্ধ ক্লেনবিউটেরলের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। দোষ স্বীকার করে আইসিসির কাছে প্রমাণ করতে পেরেছেন যে তিনি না জেনে এটি গ্রহণ করেছেন। যার ফলে আইসিসি তার শাস্তি কমিয়েছে।

গত ২৬ এপ্রিল থেকে আফগান ক্রিকেটার শাহজাদকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। ২৯ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোড ভাঙার দায় মেনে নেন। সাথে তিনি উপস্থাপন করেন স্থূলতা কমানোর জন্য তিনি হাইড্রক্সিকাট নামে যে ওষুধ ব্যবহার করছেন তাতে ক্লেনবিউটেরল আছে। তবে বিষয়টি তার জানা ছিল না।
এই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে সামর্থ্য হয়েছেন শাহজাদ। সেই সাথে ব্যক্তিগত অদায়িত্বশীলতার কারণে আইসিসির দেয়া ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মেনে নেন এই ক্রিকেটার। ক্লেনবিউটেরল শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয়। খেলার ক্ষেত্রে দম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বিধায় এই উপাদানটি নিষিদ্ধ হিসেবে গণ্য খেলাধুলার ক্ষেত্রে।
আইসিসির ব্যবস্থাপক জিওফ অ্যালার্ডিস এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'মি. শাহজাদ আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছেন। খেলার পারফরম্যান্স বর্ধন বা এ জাতীয় অন্য কোন ড্রাগের ব্যবহার ঢাকার জন্য তিনি এই নিষিদ্ধ উপাদান ব্যবহার করেননি।' মূলত এই কারণেই তার শাস্তি কমিয়েছে আইসিসি।'
আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে ৫৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শাহজাদ। টি২০তে ১৭৭৯ রান ও ওয়ানডেতে ১৯০১ রান সংগ্রহে রয়েছে তার। একবছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।