বিশ্বকাপে নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় আছেন সৈকত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন শরফউদ্দৌলা ইবনে সৈকত। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচেও চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ইমার্জিং আম্পায়ার প্যানেলেও আছেন সৈকত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও লম্বা সময় ধরে আম্পায়ারিং করছেন তিনি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ঘরের মাঠের ম্যাচে তাকে ছাড়া আম্পায়ারিং প্যানেল ভাবাই যায় না।

বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে সৈকত জানিয়েছেন এটা তার স্বপ্ন ছিল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে সম্মানিত তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে এই সুযোগ পেয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংকে ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন হিসেবে মানছেন এই সৈকত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করা আমার স্বপ্ন ছিল। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে এই সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত। এই সুযোগ আমার কাছে এক বিশেষ প্রাপ্তি। কঠোর পরিশ্রম এবং দায়বদ্ধতার মাধ্যমে এটা আমি অর্জন করেছি। যদিও টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া আমার কাছে আম্পায়ার হিসাবে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বড় প্রাপ্তি।’
এর আগে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি নারী বিশ্বকাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। তবে ছেলেদের বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই তার। যদিও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আম্পায়ারিং করার সুবাদে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেই জ্ঞানই বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে চান অভিজ্ঞ এই বাংলাদেশি আম্পায়ার।
তিনি বলেন, 'আইসিসি ইভেন্টে কেমন পরিবেশ থাকে জানি। আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। এবার তার থেকে কিছুটা আলাদা অভিজ্ঞতা হবে জানি। নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারব বলেই মনে হয়। বিভিন্ন দেশের দল খেলবে। তাই সব দলকে নিয়ে খুঁটিনাটি ধারণা নিয়েছি এবং নিজেকে সেইভাবেই তৈরি করেছি।'