ম্যাচসেরার পুরষ্কারের অর্থ মাঠকর্মীদের দিলেন সিরাজ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে, ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যেতে পারে ৩ বার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
এশিয়া কাপের ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজই। মাত্র ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস বিধ্বস্ত করে দিয়েছেন প্রায় একাই। এরপর ১০ উইকেটের জয়ে অষ্টম এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত।
এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে সিরাজের হাতে। তবে আর্থিক পুরষ্কার হিসেবে পাওয়া ৫ হাজার ডলার তিনি তুলে দিয়েছেন কলম্বোর মাঠকর্মীদের হাতে। তিনি সেটা মাঠকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের পুরষ্কার হিসেবেই দিয়েছেন।

ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে নিয়ে সিরাজ বলেছেন, ‘এই অর্থ পুরস্কারটা গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্য। তাঁদের ছাড়া এই টুর্নামেন্টটা হতো না। আমি গত কয়েক ম্যাচে ভালোই বোলিং করছিলাম। অনেক বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যাই যাই করছিল। আজ সেই ব্যাটের কানা খুঁজে পেয়েছি।’
পারফরম্যান্স দিয়েই জবাব দিতে চান সিরাজ
২১ মার্চ ২৫
প্রেমাদাসার উইকেটে এদিন শুরু থেকেই সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। সুইং পেয়েছেন প্রথম বল থেকেই। সিরাজও সেই সুযোগ লুফে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘উইকেটে আজ বল সিম করছিল। সুইংও ছিল। তাই আমি ফুল লেংথে বল করার চেষ্টা করেছি।’ যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামির সঙ্গে বোলিং জুটিও সিরাজকে আক্রমণাত্মক বোলিং করার সুযোগ করে দিয়েছে, ‘ফাস্ট বোলারদের মধ্যে যখন বোঝাপড়াটা ভালো হয়, তখন ভালো কিছু হয়।’
এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের নায়ককে প্রশংসায় ভাসাতে ভোলেননি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেছেন, ‘সিরাজকে অনেক কৃতিত্ব দিতেই হয়। সে সুইং করাতে পারে, সিম মুভমেন্টও করাতে পারে। সব পেসারদের মধ্যে এই দক্ষতা থাকে না। সে এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছে।’
এদিন এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ডলার পুরষ্কার দেয়া হয়েছে মাঠকর্মীদের। সেই পুরষ্কার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ লিখেছেন, ‘নেপথ্য নায়কদের বাহবা দিতেই হয়। এসিসি ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড কলম্বো ও ক্যান্ডির কিউরেটর ও মাঠকর্মীদের ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার দিতে পেরে গর্বিত। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদন এবারের এশিয়া কাপকে স্মরণীয় টুর্নামেন্টে পরিণত করেছে। উইকেট তৈরি থেকে শুরু করে মসৃণ আউটফিল্ড, তাঁরা জমজমাট ক্রিকেট ম্যাচের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন।’