promotional_ad

১৯৯৯ বিশ্বকাপে ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করতে পারেনি আফ্রিদি!

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


২২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শহীদ আফ্রিদির। দেশের হয়ে খেলেছেন ২৭টি টেস্ট, ৯৯টি টি-টোয়েন্টি এবং ৩৯৮টি ওয়ানডে। সময়ের পালাবদলে বনে গিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ফেরিওয়ালাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। 


লম্বা ক্যারিয়ার হলেও পাকিস্তান দলে একাধিক ভূমিকায় দেখা গেছে আফ্রিদিকে। মারকুটে ওপেনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, সময়ের সঙ্গে বদলেছে তাঁর ভূমিকাও। কখনো হার্ড হিটারের ভূমিকায় লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলেছেন, আবার স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারের ভুমিকাতেও দায়িত্ব সামলেছেন।  


ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলোচনায় আসেন আফ্রিদি। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটসম্যনের সবচেয়ে বড় শত্রু ছিল ধারবাহিকতা। একটা সময় পর বোলিংয়ে ধারাবিকতা খুঁজে পেলেও, ব্যাটিংয়ে ধারাবিকতার দেখা মেলতো কালেভদ্রে।



promotional_ad

যে কারণে ক্যারিয়ার জুড়েই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের। এবার ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবে আফ্রিদিকে খেলানোর বিষয়ে খোলাসা করেছেন আমির সোহেল। 


জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ওপেনিংয়ে যে আফ্রিদিকে দিয়ে কাজ চলবে না, তা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি।।  ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের জন্য টপ অর্ডারে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়কের পছন্দ ছিলেন ইউসুফ ইয়োহানা, পরে ধর্মান্তরিত হয়ে যিনি নাম নিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।


সাবেক পাকিস্তানি ওপেনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, '১৯৯৮ সালে আমি যখন অধিনায়ক, নির্বাচকদের সঙ্গে আমরা ঠিক করেছিলাম যে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের জন্য আমাদের নিয়মিত ওপেনারদের বেছে নিতে হবে যে কিনা উইকেটে টিকে থাকতে পারে এবং নতুন বল কাটিয়ে দিতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরে বেছে নেওয়া হয় শহিদ আফ্রিদিকে।'


'নিচু বাউন্সের উইকেটে সে বোলারদের ওপর দাপট দেখাতে পারত এবং প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারত। কিন্তু চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে তাকে ওপেনিংয়ে খেলানো ছিল বড় জুয়া। সেটিই হয়েছে, সে ব্যাটিং বা বোলিং, কিছুই পারেনি। ওয়াসিম আকরামের জায়গায় আমি অধিনায়ক হলে ওপেনিংয়ে বেছে নিতাম মোহাম্মদ ইউসুফকে।' আরও যোগ করেন তিনি।



ওই বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ওপেন করে আফ্রিদি রান করেছিলেন মোট ৪৩। পরে দুই ম্যাচ ৭ নম্বরে খেলে তার রান ছিল ৫০। ৭ ম্যাচে তার একমাত্র উইকেট ছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক আমিনুল ইসলামের। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল পাকিস্তান। 


দলে একাধিক অলরাউন্ডার থাকলেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তাই পায়নি ওয়াসিম আকরামের দল। লর্ডের সেই ফাইনালে ৮ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগের বছরও আমির সোহেল ছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু পরে আর জায়গাই পাননি ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পাকিস্তান স্কোয়াডে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball