করোনাকে আশীর্বাদ হিসেবে নিচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মহামারী করোনাভাইরাসে ধুঁকছে পুরো বিশ্ব। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। এই করোনাভাইরাস অসংখ্য মানুষের জন্য সর্বনাশ হয়ে আসলেও ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের জন্য এসেছে পৌষ মাস হয়ে।
আসছে জুলাইয়ে ৩৮ বছরে পা দিতে যাচ্ছেন অ্যান্ডারসন। যেই বয়সটাতে অনেকেই ২২ গজকে বিদায় জানিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করেন, ঠিক সেই বয়সটিতে এসে অ্যান্ডারসন ভাবছেন ভিন্ন কথা। আরও বছর দুয়েক খেলা চালিয়ে যাবার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।

করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ক্রিকেট বন্ধ থাকায় লম্বা ছুটি পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। অ্যান্ডারসন মনে করেন, এই বিরতি তাঁর ক্যারিয়ারকে দীর্ঘ করতে সাহায্য করবে। সম্প্রতি একটি ইংলিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
অ্যান্ডারসন বলেন, ‘এই বিরতি আমার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিকে বাড়তি আরও দুই-এক বছর যোগ করবে। অনুশীলনে ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। যদিও নেটে খুব বেশি মানুষ নেই, বিষয়টি একটু অদ্ভূতই বটে। তার পরও মাঠে ফিরতে পারা, ক্রিকেট খেলতে পারা দারুণ ব্যাপার।’
কিছুদিন আগেই সতীর্থ পেসার জোফরা আর্চার বলেছিলেন, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলাটা অদ্ভূত হবে। সেই সঙ্গে মাঠে দর্শকদের কৃত্রিম আওয়াজের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেছিলেন আর্চার। একই সুরে অ্যান্ডারসনও বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার রাগবি লিগ দেখছিলাম আমি এবং সত্যি বলতে, শুরুতে ভেবেছিলাম, সত্যিই বুঝি দর্শক চিৎকার করছে! আমার মনে হয়েছে, এটি কার্যকর। গ্যালারিতে কেউ না থাকলেও দর্শকের একটি আবহ সৃষ্টি করা খারাপ নয়।’
গেল জানুয়ারি থেকেই ইনজুরির কারণে মাঠে দেখা যায়নি এই পেসারকে। যদিও মার্চ থেকে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৫১টি টেস্ট। ঝুলিতে পুরেছেন ৫৮৪টি উইকেট। পাশাপাশি ১৯৪ ওয়ানডেতে ২৬৯ ও ১৯ টি-টোয়েন্টিতে ১৮ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন।