করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জিম্বাবুয়ে!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বের সব ধরণের স্পোর্টিং ইভেন্ট বন্ধ রয়েছে। আবার কবে মাঠের লড়াইয়ে ফিরবেন সবাই সেটা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন অবস্থায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডগুলোকেও।
তবে এই মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে জিম্বাবুয়ে। দেশটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেলর অন্তত এমনটাই মনে করছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে সকলেই মাঠের লড়াই থেকে বিরতিতে আছেন। কিন্তু এই বিরতি জিম্বাবুয়ের কোনো উপকারে আসছে না বলে ধারণা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টেলরের।

জিম্বাবুয়ের সাপ্তাহিক দ্য স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, এই বিরতি আমাদের কোনো উপকারে আসছে না। আমরা এমনই একটি দল, যাদের এখন প্রতিনিয়ত আরও বেশি করে ক্রিকেট খেলা উচিত।'
বর্তমান সময়টিকে নিজেদের জন্য সবচাইতে হতাশার এবং কষ্টদায়ক আখ্যা দিয়ে টেলর আরো বলেন, 'আমরা সব সময়ই ক্রিকেট খরায় ভুগেছি। এই বছর আমাদের আন্তর্জাতিক সূচিটা ঠাসা ছিল। কিন্তু পুরোটাই এখন করোনার মহামারিতে এলোমেলো। তাই এই সময়টা আমাদের জন্য সবচেয়ে হতাশার ও কষ্টদায়ক।’
এমন পরিস্থিতিতে কারো যে কিছু করার নেই সেটা ভালোভাবেই জানেন টেলর। তাঁর মতে এখন দুস্থদের সহায়তায় সকল খেলোয়াড়ের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
টেলরের ভাষ্যমতে, ‘আমার মনে হয় এখনই সময় যেখানে খেলোয়াড়েরা একটু বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। গোফান্ডমি পেজের মাধ্যমে বৃদ্ধ, আশ্রয়হীনদের সহায়তায় অবদান রাখতে পারে। যেটা আমাদের দেশের এখন মৌলিক একটা সমস্যা।’
গত বছর আইসিসির সব ধরণের ইভেন্ট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। বাতিল করা হয়েছিল তাদের সদস্যপদও। প্রায় মাস ছয়েক পর এই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে স্বস্তি ফেরে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। পরিস্থিতি পাল্টানো শুরু করে চলতি বছর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে বছর শুরু করেন টেলররা। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে দলটি। যদিও পুরো সিরিজে একটি ম্যাচও জেতেনি তারা। সামনে পুরো বছরই ছিল আন্তর্জাতিক সূচিতে ঠাসা।
এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল জিম্বাবুয়ের। সিরিজটি ইতোমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে। বছরের শেষ দিকে ছিল আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সিরিজ। করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত সব কিছু নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ কারণেই টেলর মনে করছেন সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে জিম্বাবুয়েরই।