ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর স্বীকারোক্তি

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গত বছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। পরবর্তীতে সফর শেষ না করেই দেশে ফিরে আসেন তারা। মসজিদে সেই হামলায় ক্রিকেটারদের কোনো ক্ষতি না হলেও প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫০জন।
পরবর্তীতে এই ঘটনার মূল হোতা ব্রেন্টন টারান্টকে আটক করে পুলিশ। বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া এই ঘটনার এক বছর পর নিজের দোষ শিকার করেছেন সেই সন্ত্রাসী। একই সঙ্গে আরো ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টাসহ একটি সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও স্বীকার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চ হাইকোর্টে সংক্ষিপ্ত শুনানিতে টারান্ট এই হামলার দায় স্বীকার করেন। এর আগে গত বছর জুনের দিকে বিচার চলাকালীন আদালতে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছিলেন।

করোনাভাইরাসের কারণে পুরো নিউজিল্যান্ড লকডাউন অবস্থায় আছে। যে কারণে আদালত কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম সীমিত করেছে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে আসা কোনো জনসাধারণকে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়নি।
টারান্টের আইনজীবীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে শুনানিতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
এই ব্যাপারে বিচারপতি ক্যামেরন মান্ডার বলেন, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের জন্য আদালত কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম সীমিত করেছে। তাই ক্ষতিগ্রস্তরা এবং তাদের পরিবার আদালতকক্ষে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি পাননি। এটা দুঃখজনক যে, যখন অপরাধী তার দোষ স্বীকার করল এবং আদালত দোষী সাব্যস্ত করল তখন ক্ষতিগ্রস্তরা এবং তাদের পরিবার তা দেখতে পেলেন না।’
বিচারপতি মান্ডার আরও বলেন, ‘আদালত তার স্বাভাবিক কাজকর্মে যখন ফিরে আসবে এবং ক্ষতিগ্রস্তরা ও তাদের পরিবার আদালতে ব্যক্তিগতভাবে থাকতে পারবে তখন আসামিকে সাজা দেয়ার বিষয়টি আসবে। ১ মে পর্যন্ত টারান্টকে কারাগারে থাকতে হবে।’
আল নূর মসজিদের সেই হামলায় নিজের স্ত্রী হুসনাকে হারিয়েছিলেন ফরিদ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। টারান্টের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘অপরাধী সঠিক শাস্তি পেলে যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন তারা স্বস্তি পাবেন। আমি সব সময় চাইতাম অপরাধী শাস্তি পাক। তবে এখন আমি খুশি যে, অপরাধী তার দোষ স্বীকার করেছে।’
২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলাকালীন আল নূর মসজিদ এবং ক্রাইস্টচার্চের লিনউড ইসলামিক সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেই ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয় ও কমপক্ষে ৫০ জনের মত গুরুতরভাবে আহত হয়।
অভিযুক্ত হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনা হয় হত্যার অভিযোগও। এই ঘটনার সময় মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।