সেমিফাইনালের নায়কের বিদায়

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলঃ ১৭৭/১০ (৪৭.২ ওভার) (জয়সাওয়াল ৮৮, তিলক ৩৮, জুরেল ২২; অভিষেক ৩/৪০)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলঃ ৬২/২ (১২.৫ ওভার) (ইমন ২৫*, শাহাদাত ০*; বিশ্বনী ২/৯)
বিশ্বনীর দ্বিতীয় আঘাতঃ ইনিংসের ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার রবি বিশ্বনী। মাত্র ৮ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে জয়কে। দলীয় ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

তানজিদের বিদায়ঃ দলীয় ৫০ রানের মাথায় বোলিংয়ে এসে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে কার্তিক তিয়াগির হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ দলের লেগ স্পিনার রবি বিশ্বনী। ২৫ বলে এক ছক্কা এবং ২ চারের সাহায্যে ১৭ রান করেন তানজিদ।
দারুণ শুরু বাংলাদেশেরঃ ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। এই দুই ব্যাটসম্যান ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
এর আগে পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে ১৭৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার যাশাসবি জয়সাওয়াল।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন অভিষেক দাস। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রমাগত ভালো বোলিং করে বাংলাদেশ। ফলে রান তুলতে ব্যর্থ হয় ভারতের ওপেনাররা। তানজিম হাসান সাকিব প্রথম তিন ওভারে মাত্র একটি ওয়াইড দেন। এরমধ্যে টানা ১৭টি ডট বল দেন তিনি।
শুরুর ভাগেই চাপে পড়া ভারতের উইকেট আদায় করে বাংলাদেশ। ওপেনার দিবিনাশ সাক্সেনার উইকেট আদায় করে নেন অভিষেক দাস। ১৭ বলে দুই রান করে মাহমুদুল হাসান জয়কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাক্সেনা। সাক্সেনা ফেরার পর হাল ধরেন জয়সাওয়াল ও তিলক বার্মা। ধীরগতিতে ইনিংস মেরামতের কাজ চালিয়ে যায় তারা। দুজন মিলে গড়েন ৯৪ রানের জুটি।
তারপর ৬৫ বলে ৩৮ রান করা তিলককে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গ। ৯ বলে ৭ রান করা গার্গকে ফেরান রকিবুল হাসান। দাপুটে বোলিং অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ।
এরই সুফল নেন দেন পেসার শরিফুল। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলা জয়সাওয়ালকে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। যাওয়ার আগে আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৮ রান করেন জয়সাওয়াল।
এরপরের বলেই সিদেশ বীরকে লেগ বিফোর উইকেটের মাধ্যমে ফেরান শরিফুল। জয়সাওয়ালকে হারিয়ে আরও ক্ষুরধারে পরিণত হয় বাংলাদেশের বোলিং। শেষের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারায় ২০০ রানের আগেই অলআউট হয় ভারত।