অবসরের পর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়েছিলেন শোয়েব!

ছবি: ছবিঃ- পিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মানসিক অবসাদের কারণে শ্রীলংকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের মাঝপথেই ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অজি অলরাউন্ডারের মতো মানসিক অবসাদগ্রস্ত হন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারও।
অবশ্য ম্যাক্সওয়েলের মতো ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মাঝপথে নন, বরঞ্চ ক্রিকেট ছাড়ার পর অবসাদগ্রস্ত হন শোয়েব।

সম্প্রতি শোয়েব বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি ছয় মাস অনেক হতাশ ছিলাম, মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলাম। যখন ক্রিকেট ছেড়ে দেই, তখন আমার এই অবস্থা হয়। ছয়-সাত মাস আমি ঘর থেকেই বের হতে পারিনি।’
কিছুদিন আগেই শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে জানা যায়, মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় শেষ ম্যাচে খেলবেন না ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েলের পর আরেক অজি ব্যাটসম্যান নিক ম্যাডিনসনও ঠিক একই কারণে ক্রিকেট থেকে ছুটি নেন। এমনকি ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ম্যাক্সওয়েলের সিদ্ধান্তের পর জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময়ে তিনিও একই কারণে ক্রিকেট ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন।
ভবিষ্যতে কেউ এমন কিছু করলে সেটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন কোহলি, ‘আমি এটার পক্ষে। সবাই আসলে যার যার লক্ষ্য নিয়ে ব্যস্ত। অন্য কেউ কী ভাবছে সেটা বুঝার উপায় নেই।
কিছু সময়ের জন্য খেলা থেকে দূরে থাকলে যদি আপনার অবসাদ একটু কমে তাহলে সেটাই করা উচিত। এটাকে সম্মান করা উচিত, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত না। সব মানুষের সাথেই এমনটা হয়।’