ভারতকে আইসিসির হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কর মওকুফের বিষয় নিয়ে আইসিসি এবং বোর্ড অফ ক্রিকেট ফর কন্ট্রোল ইন ই???্ডিয়ার (বিসিসিআই) দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারতের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য তাদের রাজস্বের পরিমাণ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মূলত ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। নিয়ম অনুযায়ী কোনো দেশ যদি আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক হয়ে থাকে তাহলে টুর্নামেন্টটির প্রায় সব আর্থিক লেনদেনের কর মওকুফ করে দেয় আয়োজক দেশটির সরকার। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো।

দেশটিতে কর প্রদান করার ক্ষেত্রে এমন আইন না থাকায় বিশ্বকাপের কর পুরোপুরি মওকুফ করেনি সরকার। এই কর প্রদান করার ফলে আইসিসি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ডলার। দীর্ঘ ৩ বছরের বেশি সময় পার হলেও এই ক্ষতিপূরণ আইসিসিকে দেয়নি বিসিসিআই।
তাই এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আইসিসি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভারতের রাজস্ব আয়ের কিছু অংশ কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, কর মওকুফ না করলে ২০২১ এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে ভারতকে সরিয়ে দেয়ারও হুমকি দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, 'বিসিসিআইর রাজস্ব থেকে প্রায় ৪০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কেটে রাখতে পারে আইসিসি, যা ভারতীয় বোর্ডের রাজস্ব আয়ের দশ শতাংশ। বর্তমান কর আইন পরিবর্তন করার ক্ষমতা বিসিসিআইর নেই। তবে আমরা এ ব্যাপারে আইসিসিকে অবগত করেছি। আমরা তো আর দেশের আইন অমান্য করতে পারি না। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের এটা বেশ ভালোভাবেই বোঝা উচিত। কারণ, তিনি নিজেও বিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট ছিলেন একটা সময়।'
এদিকে আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নিলে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে বিসিসিআই বলে জানা গেছে। রাজস্ব কেটে নেয়াকে সমাধান হিসেবে দেখছে না তারা। সেই কারণে যুক্তরাজ্যের একটি আইনি সংস্থার কাছ থেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ নিবে তারা। কারণ ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেটি ছিল যুক্তরাজ্যের আইন ভিত্তিক।